যুক্তরাজ্যভিত্তিক সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান সামির ভাই মহিনুর আহমেদ খানের ওপর হামলার অভিযোগে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস।
শুক্রবার দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র ব্রায়ান সিলার সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান সামির ভাই মাহিনুর আহমেদ খান গত সপ্তাহে তারমিরপুরের বাসার সামনে যে আক্রমণের শিকার হয়েছেন সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস অবগত আছে। আমরা মি. খানের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি এবং আশা করছি সঠিক বিচারের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’
ওই হামলার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শুক্রবার এক পোস্টে সামি লিখেছেন, ‘গত ১৭মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় ৪জন দুষ্কৃতিকারী আমার ছোটভাই মাহিনুরকে তার পশ্চিম শেওড়াপাড়ার বাসার সামনে রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। মাহিনুর তার বাসার নিচে অবস্থিত গ্রোসারি থেকে কিছু প্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনার উদ্দেশ্যে বের হয়। গ্রোসারি থেকে তার বাসার গেটের দূরত্ব ১০ মিটারেরও কম। আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা আমার ভাইকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে এবং রাস্তা ব্লক করে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। পেটানোর সময় তারা এই ঘটনার ভিডিও করে। আমার ভাই যতই বলে সে কোন অন্যায় করেনি এবং সে কখনোই আমার সাথে সংশ্লিষ্ট না, তারপরেও তাদের কোন দয়া হয়নি’। পোস্টে সামি আরও লিখেছেন, ‘গতকাল একটি সূত্রের মাধ্যমে আমি এই ঘটনাটি জানতে পারি এবং সাথে সাথেই আমার ভাইকে ফোন করি। তার ফোন নম্বর বন্ধ পেয়ে তার স্ত্রীকে ফোন করি। আমাকে কেন জানানো হয়নি এই প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আপনাকে জানালে যদি আপনি রিপোর্ট করেন এবং তারপর আপনার ভাইকে পিটিয়ে মেরে ফেললে তখন আপনি কি করবেন?’
ফেসবুক পোস্টে সামি উল্লেখ করেন, এই ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিরা স্থানীয় ১৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হুমায়ন রশীদ জনির অনুসারী বলে বিশ্বস্ত সূত্রে আমি জানতে পেরেছি। বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমার ভাইয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব। আমার ছোট ভাইকে বর্বরের মত আক্রমন করার এই ঘটনাটি আমি সংশ্লিষ্ট সকল গণমাধ্যমকে অবহিত করেছি। ব্যক্তিগতভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং যুক্তরাজ্যের ফরেন অফিসকেও জানিয়েছি।
এ বিষয়ে মিরপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ১৭ মার্চ রাতে ঘটনার সংবাদ পেয়েই পুলিশ পাঠানো হয়। মাহিনুর আহমেদ খানের কাছে ঘটনাটি বিস্তারিত জানার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তাকে লিখিত অভিযোগ করতে বলা হয়। তবে তিনি তখন কোন অভিযোগ করেননি। তারপরও আমরা খোঁজে বের করার চেষ্টা করছি কে বা কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
শুক্রবার বিকেলে শাহিনুর আহমেদ খান লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন। উনি আসলেই অভিযোগ নেয়া হবে।