প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচনের দিন গণমাধ্যমকর্মীরা জন্য করা নীতিমালা নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘নীতিমালায় অধিকতর কোনো সংশোধন, বিয়োজন বা সংযোজনের প্রয়োজন আছে কি না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরের সামনে সিইসি এসব বলেন।
নির্বাচনের দিন সাংবাদিকদের নির্বাচনসংক্রান্ত সংবাদ সংগ্রহ ও সম্প্রচার করার বিষয়ে বুধবার একটি নীতিমালা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নীতিমালার উল্লেখযোগ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে নির্বাচনের দিন সাংবাদিকেরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবেন না, ভোটকক্ষের ভেতর থেকে কিংবা ভোট গণনার সময় সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবেন না। করা যাবে না ফেসবুক লাইভ।
এটি প্রকাশের পর থেকেই এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। জাতীয় সংসদ, সিটি করপোরেশন, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এবং উপনির্বাচনে এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।
সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা যে কথা আপনাদের বলতে চাই, তা হলো কোনো ডকুমেন্টই স্যাকরোস্যাংক্ট (অলঙ্ঘনীয়) নয়। যেকোনো ডকুমেন্ট যদি প্রয়োজন হয়, যেকোনো সময় রিভিউ (পর্যালোচনা) করে পরিবর্তন করা যায়।’
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচন বিষয়ে সাংবাদিকদের জন্য জারি করা নীতিমালা নিয়ে বোধ হয় কিছু বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। সেটা আমরা মিডিয়া থেকে জানতে পেরেছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছি।’
সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা যে কথা আপনাদের বলতে চাই, তা হলো কোনো ডকুমেন্টই স্যাকরোস্যাংক্ট (অলঙ্ঘনীয়) নয়। যেকোনো ডকুমেন্ট যদি প্রয়োজন হয়, যেকোনো সময় রিভিউ (পর্যালোচনা) করে পরিবর্তন করা যায়।’
এ নীতিমালা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আরও আলাপ-আলোচনা করবেন জানিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘বিভিন্ন সূত্র থেকে যেসব মতামত বা সমালোচনা এসেছে বা আসবে, সেগুলো আমরা বিবেচনায় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব যে নীতিমালায় অধিকতর কোনো সংশোধন, বিয়োজন বা সংযোজনের প্রয়োজন আছে কি না। বিষয়গুলো দেখে যথাসময়ে সিদ্ধান্ত নেব। এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
তিনি বলেন, ‘সব ক্ষেত্রে আমরা শৃঙ্খলা বিধানের চেষ্টা করব। যেন অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত না হয়। এটা মাথায় রেখেই আমরা নীতিমালা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘তারপরও যেহেতু আপনারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের কাজ করবেন, আপনাদের যে মতামত, সেগুলো আরও পেয়ে নিই, সেগুলো আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও আপনাদের যথাসময়ে অবগত করব।’