সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হলো বহুল প্রতীক্ষিত অনুষ্ঠান ‘টেক্সেলেন্স ২.০’
গত ৩১ আগস্ট সাউথইস্ট টেক্সটাইল ক্লাবের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে ছিলো ব্রেইনবাজ কুইজ, দ্য ক্রিয়েটিভ ওয়াল, টেক্সটক+সহ নানা প্রতিযোগিতা ও কার্যক্রম। দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে এবং দেশের স্বনামধন্য টেক্সটাইল শিল্পের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে আয়োজনকে সমৃদ্ধ করেন। অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল ফ্যাশন শো ‘টেক্সস্টাইল’, যেখানে অংশগ্রহণকারী দলগুলো দেশীয় পাট, জামদানি ও তাঁতের কাপড়সহ স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার করে পোশাক তৈরি করে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নতুনভাবে ফুটিয়ে তোলে। এই প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (BUFT)। ফ্যাশন শোর পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিযোগিতাগুলোও সমানভাবে দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ব্রেইনবাজ কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি আর দ্বিতীয় হয় আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (AUST)। অন্যদিকে দ্য ক্রিয়েটিভ ওয়াল প্রতিযোগিতার তিনটি পুরস্কারই জয় করে নেয় সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি। পুরো আয়োজন জুড়ে অতিথিদের উপস্থিতি এবং শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোফাজ্জল ইসলাম এবং টেক্সটাইল বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ইঞ্জি. মাসুদ আহমেদসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সাউথইস্ট টেক্সটাইল ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মো. মানিক মিয়া বলেন, “এই আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তরুণ প্রজন্মের সামনে নতুনভাবে উপস্থাপন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। তরুণদের সৃজনশীলতা ও মেধাকে আন্তর্জাতিক পরিসরে তুলে ধরার প্রচেষ্টা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।” একইসঙ্গে আয়োজক সদস্যরা জানান, আগামীতে আরো বৃহত্তর পরিসরে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে। টেক্সটক+ সেশনে অতিথিরা শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার পরিকল্পনা, টেক্সটাইল শিল্পের সম্ভাবনা এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়ন নিয়ে পরামর্শ দেন। সার্বিকভাবে শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ, অতিথিদের শুভেচ্ছা বক্তব্য এবং নানা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে টেক্সেলেন্স ২.০ পরিণত হয় এক স্মরণীয় ও সফল আয়োজনে, যা ভবিষ্যতেও নিয়মিতভাবে আয়োজন করার আহ্বান জানান অতিথি ও দর্শনার্থীরা।