কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক উপসহকারী কর্মকর্তা মো. লায়েকুজ্জামানের বাসা থেকে কয়েক শ লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়েছে। আসন্ন রমজানে চড়া দামে এসব সয়াবিন তেল বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল লায়েকুজ্জামানের।
শনিবার রাজধানীর তেজগাঁও বিভাগ পুলিশের উপকমিশনারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান উপকমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার।
তিনি জানান, শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ার নজরুল রোড এলাকায় লায়েকুজ্জামানের বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানের সময় তার বাসা থেকে ৫১২ লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করে।
বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, লায়েকুজ্জামান সর্বশেষ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কর্মকর্তা হিসেবে ফরিদপুরে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায়। তিনি বর্তমানে পরিবার নিয়ে মোহাম্মদপুরের নজরুল রোড এলাকার একটি বাসায় থাকেন। সেখান থেকেই এসব তেল উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, ‘লায়েকুজ্জামান এসব তেল বেশ চড়া দামে বিক্রির আশায় মজুত করেছিলেন। যেহেতু এ ধরনের ভোগ্যপণ্য মজুত করা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়, তাই আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি। গ্রেপ্তারের পর মোহাম্মদপুর থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে।’
পুলিশ জানায়, লায়েকুজ্জামান ৬ মার্চ একটি পাইকারি দোকান থেকে ৪০ লিটার তেল কেনেন। সেই দোকানের রসিদ নকল করে পরে আরও বেশ কিছু দোকান থেকে ৪৭২ লিটার সয়াবিন তেল কেনেন। তিনি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, রমজানের দাম আরও বাড়তে পারে, এমন আশায় তেল মজুত করেছিলেন।
পুলিশ বলছে, এটা একটি ফৌজদারি অপরাধ। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। বাকি তেল কোথা থেকে সংগ্রহ করেছেন, তার কাছ থেকে জানার চেষ্টা করা হবে। তার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ আরও জানায়, লায়েকুজ্জামানের কাছে কেন ৪০ লিটার তেল বিক্রি করা হলো, এটা একটা বড় প্রশ্ন। ব্যক্তিপর্যায়ে বা ব্যবসায়িক পর্যায়ে হোক, যারা তেল বিক্রি করছেন, পুলিশ মনিটরিং করছে। পুলিশের বিভিন্ন দল প্রকাশ্যে ও গোপনে কাজ করছে। যখনই এ ধরনের তথ্য পাওয়া যাবে, অভিযান চালানো হবে।