ঢাকা , সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
অফিস করেন না খাদ্য পরিদর্শক বেতন ভাতা নেন নিয়মিত ডাকসু নির্বাচনে হস্তক্ষেপের প্রশ্নই আসে না: সেনাবাহিনী আমিরাতের পর এবার সৌদি আরবের কড়া বার্তা পেলো ইসরায়েল রিয়াদে জাকের পাটির আয়োজনে ঈদে মিলাদুনবী (সা:) ও পাটির ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে বরগুনা জেলার পাথর ঘাটা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও স্থানীয় ইউপির নির্বাচনে একাধিকবার নির্বাচিত ইউপির চেয়ারম্যান জনাব কামরুল ইসলামের সংবর্ধনা ও বিশেষ সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠান হঠাৎ পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত মেঘনায় জেলের জালে ধরা পরলো ১৪ কেজি ওজনের কাতাল মাছ ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত দুদকের উপপরিচালক মাহবুবুল আলম ভুয়া জ্বালানির খরচ দেখিয়ে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, নগর ভবনে দুদকের অভিযান প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমর আর নেই

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক গ্রেফতার

সাংবাদিক

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে (অব.) গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে তাকে বাসা থেকে গ্রেফতার করে। ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল ৮টার কিছুসময় পরে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে তার ধানমন্ডির বাসা থেকে আমরা গ্রেফতার করেছি। তাকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হবে। এরপর তার বিরুদ্ধে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দেশের ১৯-তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে এবিএম খায়রুল হক শপথ নেন ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। পরের বছর (২০১১ সাল) ১৭ মে ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় তিনি অবসর গ্রহণ করেন।

এদিকে সম্প্রতি সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। দেশের ‘বিচার বিভাগ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের মূল কারিগর’ উল্লেখ করে তাকে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানায় সংগঠনটি।

বিচারাঙ্গনে তুমুলভাবে আলোচিত-সমালোচিত এ বিচারপতির বেশ কয়েকটি রায় চরম বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল। তিনি নিজে আওয়ামী আমলে নানাভাবে সুবিধাপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাকে প্রধান বিচারপতি করা হয়েছিল কয়েকজন জ্যেষ্ঠ বিচারপতিকে ডিঙিয়ে।

প্রধান বিচারপতি থাকাকালে ত্রাণ তহবিলের টাকায় নিজের চিকিৎসা করে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। অবসর নেওয়ার কয়েকদিন আগে তিনি ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেন। এতে দেশে রাজনৈতিক সংঘাতের পথ উন্মুক্ত হয়।

রাজনৈতিক একটি বিষয়কে আদালতের আওতাধীন করে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক নন বলে রায় দিয়েছিলেন এবিএম খায়রুল হক। এছাড়া বিতর্কিত একাধিক বিচারপতিকে শপথ পড়ানো, আগাম জামিনের এখতিয়ার কেড়ে নেওয়া, খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা এবং ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।

খায়রুল হকের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর গত ১৮ আগস্ট ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য ইমরুল হাসান বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় খায়রুল হকের বিরুদ্ধে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পরিবর্তন ও জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়।

আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে খায়রুল হক ছিলেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটলে ১৩ আগস্ট তিনি আইন কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছিল না।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৩:১৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
৫৭২ Time View

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক গ্রেফতার

আপডেটের সময় : ০৩:১৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে (অব.) গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে তাকে বাসা থেকে গ্রেফতার করে। ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল ৮টার কিছুসময় পরে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে তার ধানমন্ডির বাসা থেকে আমরা গ্রেফতার করেছি। তাকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হবে। এরপর তার বিরুদ্ধে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দেশের ১৯-তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে এবিএম খায়রুল হক শপথ নেন ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। পরের বছর (২০১১ সাল) ১৭ মে ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় তিনি অবসর গ্রহণ করেন।

এদিকে সম্প্রতি সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। দেশের ‘বিচার বিভাগ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের মূল কারিগর’ উল্লেখ করে তাকে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানায় সংগঠনটি।

বিচারাঙ্গনে তুমুলভাবে আলোচিত-সমালোচিত এ বিচারপতির বেশ কয়েকটি রায় চরম বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল। তিনি নিজে আওয়ামী আমলে নানাভাবে সুবিধাপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাকে প্রধান বিচারপতি করা হয়েছিল কয়েকজন জ্যেষ্ঠ বিচারপতিকে ডিঙিয়ে।

প্রধান বিচারপতি থাকাকালে ত্রাণ তহবিলের টাকায় নিজের চিকিৎসা করে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। অবসর নেওয়ার কয়েকদিন আগে তিনি ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেন। এতে দেশে রাজনৈতিক সংঘাতের পথ উন্মুক্ত হয়।

রাজনৈতিক একটি বিষয়কে আদালতের আওতাধীন করে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক নন বলে রায় দিয়েছিলেন এবিএম খায়রুল হক। এছাড়া বিতর্কিত একাধিক বিচারপতিকে শপথ পড়ানো, আগাম জামিনের এখতিয়ার কেড়ে নেওয়া, খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা এবং ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।

খায়রুল হকের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর গত ১৮ আগস্ট ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য ইমরুল হাসান বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় খায়রুল হকের বিরুদ্ধে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পরিবর্তন ও জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়।

আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে খায়রুল হক ছিলেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটলে ১৩ আগস্ট তিনি আইন কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছিল না।