সাভার প্রতিনিধিঃ
সাভারে কৃষি জমির মাটি কেটে বিক্রি করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় কৃষি জমির মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত চারটি এক্সকেভেটর ও পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত আটটি মাটি টানার ড্রামট্রাক জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া এসব ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে জহিরুল ইসলাম নামে এক ঠিকাদারকে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কাড়াদন্ডাদেশ প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সাভার উপজেলার বনগাঁও ইউনিয়নের বনগ্রাঁম এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন আমিনবাজার রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তাসলিমা শিরিন।
সাভারের আমিনবাজার রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তাসলিমা শিরিন বলেন, বনগ্রাঁম এলাকায় বেশকিছুদিন ধরে স্থানীয় কয়েকজন ভূমিদস্যু ব্যাক্তি জোর পূর্বক ভাবে বিভিন্ন ফসলি কৃষি জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করে দিয়ে আসছিলো। এর ফলে ফসলি জমি গভীর গর্তে পরিণত হওয়ায় পার্শ্ববর্তী অন্য জমিগুলোও ভেঙ্গে পড়া শুরু হয়েছে। এঘটনায় এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিত্বে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় ফসলী জমি থেকে মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত চারটি এক্সকেভেটর ও আটটি ড্রাম ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত এসব ট্রাক ও এক্সকেভেটর স্থানীয় বনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা পরবর্তীতে নিলামে বিক্রী করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়া হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া মাটি কাটার সাথে জড়িত থাকায় জহিরুল ইসলাম নামের এক ঠিকাদারকে নগদ দুই লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদিকে অভিযানের খবর পেয়ে মাটি খেকোরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। ফসলি জমির মাটি কেটে নতুন করে কেউ বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট তাসলিমা শিরিন। ভবিষ্যতেও এসব মাটি খেকোদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।
বনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আআওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, মাটি খেকোরা প্রতি রাতে লক্ষ লক্ষ টাকা মাটি বিক্রী করে। তাদের জন্য ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা পরিশোধ করা কোন বিষয়না। এজন্য তিন প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে এসব মাটি খেকোদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরসহ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।
ফসলি জমির মাটি কাটা বন্ধ করে দেওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। এসময় উপস্থিত ছিলেন বনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও যুবলীগ নেতা মেহেদি হাসান মদিন। অভিযানে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থা ও মিডিয়া কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।।