সাভার উপজেলায় চাকরি দেয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এক ‘প্রতারক চক্রের’ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে এ তথ্য জানান সাভার মডেল থানার এসআই হাসান সিকদার।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- প্রতারক চক্রের প্রধান ফিউচার প্ল্যান সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবিউল ইসলাম (২৪), মার্কেটিং অফিসার আল আমিন (২৪), সাগর হাসান (২৪), মিজানুর রহমান (২২), আব্দুল আহাদ (২০), লাদিন জিহাদ (২১) এবং শরিফ উদ্দিন (২১)।
এসআই হাসান বলেন, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় সৌরভ নামে চাকরিপ্রার্থী এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, রোববার রাতে সাভার পৌরসভার ব্যাংক কলোনি এলাকার কলেজেক্স ভবনের তৃতীয় তলায় ‘ফিউচার প্ল্যান সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেড’ নামে একটি অফিসে অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ প্রতারকদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত চাকরি প্রার্থীদের সুযোগ সুবিধা সংবলিত ছয় পাতা ফরম, ১৩টি মানি রিসিট মুড়ি বই, সাতটি রেজিস্ট্রার খাতা, দুইটি সিল মোহর, ৬০০টি যোগদান ফরম, ৬০০টি টাকার অফেরতযোগ্য অঙ্গীকারনামা, তিনটি ৫০ টাকার স্ট্যাম্প, কমিশনের টাকা তোলার দুইটি ডায়েরি, পূর্বের ভুয়া একটি গার্ডস সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেডের বিভিন্ন কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।
এসআই আরও বলেন, গ্রেপ্তাররা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। সাভারে দীর্ঘদিন ধরে ফিউচার প্ল্যান সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেড নামে অফিস খুলে লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে বেকার যুবকদের প্রলুব্ধ করত।
‘চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে ফরম, সিকিউরিটি মানি বাবদ টাকা নিয়ে সেটা আত্মসাৎ করত। চাকরি না পেয়ে কেউ টাকা ফেরত চাইলে তাকে ভয়ভীতি দেখানো হতো এমনকি নির্যাতনও করা হত।’
তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারক চক্রের প্রধান ফিউচার প্ল্যান সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবিউল ইসলাম জানিয়েছে সাভারে আসার আগে রাজধানীর উত্তরায় এই চক্রের অ্যাকটিভ গার্ডস সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেড নামে আরেকটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান ছিল। সেখানেও প্রতারণার দায়ে গ্রেপ্তার হয়ে হাজতবাস করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ডিএমপির দক্ষিণখান থানায় একাধিক প্রতারণার মামলাও রয়েছে।