সারাদেশের বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। গত ৪ আগস্ট পূর্ব ঘোষিত সমাবেশের অনুমতি না দেয়ার প্রতিবাদ, কেয়ারটেকার সরকারের অধিনে নির্বাচন ও আমীরে জামায়াত ডাঃ শফিকুর রহমানসহ আলেম ওলামাদের মুক্তির দাবিতে রোববার এ বিক্ষোভ মিছিল করে দলটি।
বিক্ষোভের সময় সারাদেশে অসংখ্য নেতাকর্মী আটক হয়েছে বলে জানিয়েছে জামায়াত। দলটি জানায় কুমিল্লায় বিক্ষোভ মিছিল শুরু করলে পুলিশ অতর্কিতভাবে লাঠিচার্জ করে এবং মিছিল থেকে ৮ কর্মীকে আটক করে। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর রাজগঞ্জ মোড় থেকে পুলিশ তাদেরকে আটক করে। তাছাড়া ঢাকা মহানগরে উত্তর থেকে ২০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে জামায়াত।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে বিশ্বাস করি। আওয়ামী লীগ প্রতিদিন মিছিল করে মিটিং করে তাদের অনুমতির দরকার হয় না। অথচ আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ কর্মসূচীর জন্য বারবার অনুমতি চাওয়া হলেও পুলিশ অনুমতি দেয় না। খুলনা মহানগরীতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্রগ্রাম মহানগরীর সেক্রেটারী অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের নেতৃত্বে প্রবল বৃষ্টির মাঝেও বিক্ষোভ মিছিল করে জামায়াত। ময়মনসিংহ নগরীর সানকি পড়া বাজার থেকে মিছিল শুরু হয়। গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা স্কুলের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রটারি মাহবুবুল হাসান ।
নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর কর্ম পরিষদের সদস্য মনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। গাজীপুর মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটাারি মো. খায়রুল হাসানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিলটি ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভুষির মিল থেকে শুরু হয়ে সাইনবোর্ড এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এছাড়াও সিলেট, রাজশাহী, বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল করে জামায়াত।
জামায়াতের নেতারা বলেন, জামায়াতকে রাজনৈতিক র্কমসূচি বাস্তবায়ন করতে না দিয়ে সরকার বারবার সাংবিধানিক অধিকার হরণ করছে। সভা-সমাবেশ করা সংবিধান অধিকার। অথচ সরকার জামায়াতকে রাজনৈতিক র্কমসূচি বাস্তবায়ন করতে না দিয়ে বারবার সাংবিধানিক অধকিার হরণ করছে।
তারা বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চাই। বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী কোনো ধরনের সংঘাত, সংঘর্ষে বিশ্বাসী নয়। তারপরেও পুলিশ প্রশাসন সমাবেশে সহযোগিতার পরিবর্তে সংঘাতমুখর পরিবেশের অবতারনা করেছে। এ ধরনের আচরণ অগণতান্ত্রিক, অন্যায় ও অনৈতিক। আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।