রাজধানীর গুলশানের বাড়ি নিয়ে গত কদিন ধরেই আলোচনায় সংসদ সদস্য ও সাবেক ফুটবলার সালাম মুর্শেদী। জালিয়াতি করে রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে দখল করেছেন সরকারের পরিত্যক্ত জমি। এরপর বানিয়েছেন আলিশান বাড়ি। সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে এমন সব প্রমাণই পেয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের তদন্ত কমিটি।
বাড়িটির জমির মালিক কে তা নিয়ে একটি রিটও হয় হাইকোর্টে। তাতে বলা হয়, পরিত্যক্ত সম্পত্তি দখল করে বাড়ি বানিয়েছেন সালাম মুর্শেদী। যদিও এমন অভিযোগ বার বার অস্বীকার করে এসেছেন তিনি।
বাড়িটির প্রকৃত অবস্থা কি দুদকের আবেদনে একটি কমিটি গঠন করে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। ৩ সদস্যের কমিটিতে ছিলেন এক রাজউক কর্মকর্তাও। গত ২০ নভেম্বর সেই কমিটি পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে জানায়, গুলশান ২ এর ১০৪ নম্বর রোডের ২৭ নম্বর বাড়িটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি থেকে অবমুক্ত না করেই অবৈধভাবে বানানো হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বেআইনিভাবে এটি হস্তান্তর করা হয়েছে একপক্ষ থেকে আরেক পক্ষকে।
প্রতিবেদনে কমিটি জানায়, অবৈধভাবে দখল হওয়া প্লটটি সরকারের অনুকূলে ফেরত নেয়ার সময় এসেছে। জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশও করেছে তদন্ত কমিটি।
এ সংক্রান্ত রাজউকেরও একটি প্রতিবেদন এসেছে চ্যানেল 24 এর হাতে। সেখানেও বলা হয়েছে, বাড়িটির বৈধতার কোন সুষ্পষ্ট দালিলিক প্রমাণাদি নেই।
রাজউক বলেছে, বাড়িটি সরকারের অনুকূলে নেয়ার এটাই সময়। বৃহস্পতিবার সব নথি আদালতে দাখিল হলে এ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে হাইকোর্টে।
এ বিষয়ে রিটকারি আইনজীবী সায়েদুল হক সুমন জানান, তদন্ত কমিটি স্পষ্ট করে বলেছেন, কাগজপত্রের আলোকে অর্পিত বাড়িটির হস্তান্তর প্রক্রিয়া বিধিসম্মত হয়নি। এর অর্থ কাগজপত্র জালিয়াতি করা হয়েছে এবং এটি সরকারের আনুকুল্যে আনা যেতে পারে। রাজউক পরিস্কার করে বলছে, সালাম মুশের্দী এ বাড়িটিতে অবৈধভাবে দখল করে আছে।