করোনায় বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর গত ৯ মে ২০২২ থেকে আবার জিরো পয়েন্ট যেতে পারছেন বাংলাদেশের পর্যটকরা। তবে তাদের মানতে হবে কিছু নিয়ম। নর্থ সিকিমের চীন সীমান্তঘেষা ইয়ামেস্যামডং Lachung Valley থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার। ইয়ামথাং ভ্যালী থেকে জিরো পয়েন্টের দূরত্ব ২৬ কিমি। রাস্তার দুপাশের বরফে ঢাকা পর্বত। ইয়ামথাং থেকেই পৌঁছাতে হয় ১৫,৩০০ ফিট উচ্চতার জিরো পয়েন্টে। এর পরে বেসামরিক লোকজনের চলাচল নিষিদ্ধ। নিরাপত্তার খাতিরে ওই এলাকা পার হতে দেওয়া হয় না সাধারণ কাউকেই। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এই জিরো পয়েন্ট বাংলাদেশিদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। আবার তাদের সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
সিকিমের ট্যুর অপারেটররা জানিয়েছে, সোমবার থেকেই আবার জিরো পয়েন্ট যেতে পারছেন বাংলাদেশি পর্যটকরা। লাচুং বা ছাঙ্গু লেকে যাওয়ার জন্য অন্তত একদিন আগে ছবি, পাসপোর্ট-ভিসা ও ইনারলাইন পারমিটের কপি নিয়ে অনুমতি নিতে হবে তাদের।
বাংলাদেশিদের অনেকেই গরমের সময় বেড়াতে আসেন সিকিমে। ইদের সময়ে সিকিম বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা ইয়ামথাং ভ্যালির পরে আর যেতে পারেনি। গত এক সপ্তাহে অন্তত ৩০ হাজার বাংলাদেশি পর্যটকরা জিরো পয়েন্ট না যেয়েই ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন।
সেখানে যাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় মার্চ-এপ্রিল। এই সময় সেখানে বরফ জমে থাকে, আবার রাস্তাও খোলা থাকে। মে মাসেও হাল্কা বরফের দেখা পাওয়া সেখানে। সাধারণত বাংলাদেশ থেকে যারা যান, তারা সাধারণত লাচুং প্যাকেজের সাথে জিরো পয়েন্ট বেড়াতে যান। লাচুংয়ে রাতে থেকে তার পরদিন সকালে জিরো পয়েন্ট হয়ে ফিরে আসার সময় ইয়ামথাং ভ্যালী ও রডোডেনড্রন স্যাংচুয়ারী দেখে ফেরেন।
জানা গিয়েছে, সিকিমে বিদেশি নাগরিকদের জন্য নিষিদ্ধ কিছু জায়গা আছে। সেই এলাকার ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রকাশ করা হয়। এমনকি আগেও লাচুং এলাকায় বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে ছবিও তোলা হয়। ওই এলাকা চিন সীমান্তে হওয়ার কারণেই নিরাপত্তার কড়াকড়ি থাকে। সেই কারণেই সেখানকার সেনাবাহিনী বাংলাদেশিদের জন্য সংরক্ষিত স্থানে যাওয়ার ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করে।