রাজধানীর উত্তরখানে বৃদ্ধা হাজেরা খাতুন (৮০) হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। সিগারেট ও জুতার সূত্র ধরে মামলাটির রহস্য উদঘাটন করা হয়। সেইসঙ্গে হত্যাকাণ্ডের জড়িত থাকার অভিযোগে আরব আলী (৫৮) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার আরব আলীকে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত মঙ্গলবার দুপুরে উত্তরখানের মাস্টারপাড়ার ওজাপাড়া ৮২/৩ নম্বর বাড়ির উত্তর পাশের রুমে বৃদ্ধা হাজেরাকে হত্যার খবর পায় পুলিশ। পরে বিভিন্ন আলামতসহ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত বৃদ্ধার মেয়ে নাজমুন নাহার বীনা বাদি হয়ে উত্তরখান থানায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে হত্যা মামলা করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তরা বিভাগের ডিসি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিসি মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার সিগারেটের অংশ বিশেষ, আসামির ব্যবহৃত জুতা ও ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিটিটিভি ক্যামেরা পর্যালোচনা করা হয়। এসব আলামতের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহযোগিতায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূল আসামি মো. আরব আলীকে (৫৮) কুমিল্লা জেলার বুড়িচং এলাকা থেকে বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ডিসি বলেন, নিহত হাজেরা বেগম বাড়ির সর্ব উত্তরে রুমে একা বসবাস করতেন। দক্ষিণ পাশের চারটি রুমে ভাড়াটিয়ারা বসবাস করেন। কিছুদিন আগে ভাড়াটিয়া নাসিমা বেগম ও আরব আলীর সঙ্গে বাসা ভাড়া সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩ জুলাই নিহত বৃদ্ধাকে তার মেয়ে একাধিকবার ফোন করে পাননি। পরদিন ৪ জুলাই দুপুর ২টার দিকে মামাতো ভাই রবিন মামলার বাদিকে ফোন করে জানান- হাজেরা বেগমের রুম ছিল বাইরের দিক থেকে তালাবদ্ধ। জানালা দিয়ে ফ্লোরে শোয়া অবস্থায় তাকে দেখা যায়। পরে বাদির মামা আবুল হোসেন ও তার মামাতো ভাই রবিনসহ আশেপাশের লোকজন এসে রুমের তালা ভেঙ্গে ফ্লোর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে বাসার বিছানার উপর মালামাল এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।
মামলার অভিযোগে বীনা বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে তার মায়ের মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে থেঁতলিয়ে হত্যা করে রুমের দরজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায় খুনিরা।