আহমেদ রায়হান (৩০) এবং আলম ফয়সাল (৩৬) নামে দুই বাংলাদেশির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সিঙ্গাপুরে। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) ওই দুই বাংলাদেশি পুরুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, দুই দিন আগে তারা জুরং এর পাইওনিয়ার রোডের তুয়াস ভায়াডাক্টের নিচে ৩২ বছর বয়সী এক নারীকে ধর্ষণ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তারা সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি আর্থিক জরিমানার সাজার মুখোমুখি হতে পারেন।
বৃহস্পতিবার সকালে সিঙ্গাপুর পুলিশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে যে, ধর্ষণের শিকার ওই নারী তার ধর্ষক বাংলাদেশি পুরুষদেরকে চিনতেন না। তারা তাকে পাইওনিয়ার শিল্প এস্টেটের মধ্যে অবস্থিত পাইওনিয়ার রোডে নিয়ে গিয়েছিল এবং তার ওপর যৌন হামলা করেছিল।
আদালতের নথিতে বলা হয়েছে যে, ওই দুই বাংলাদেশি মঙ্গলবার বেলা সাড়ে বারোটা থেকে আড়াইটার মধ্যে তুয়াস ভায়াডাক্টের নীচে তুয়াস ওয়েস্ট রোড এমআরটি স্টেশনের আশেপাশে ওই নারীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সাহায্যের জন্য একটি কল পায় যে, পাইওনিয়ার রোডে একজন ৩২ বছর বয়সী নারীকে আহত তবে সচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা আবিষ্কার করেন যে, তার মাথায় ও শরীরে একাধিক আঘাত রয়েছে।
তাকে সচেতন অবস্থাতেই হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। ডাক্তারি পরীক্ষার পরে, তার আঘাতগুলো থেকে বোঝা যায় যে, তাকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে।
অভিযোগের ১২ ঘণ্টার মধ্যেই রায়হান ও ফয়সালকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়।
অপরাধ তদন্ত বিভাগ, পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সিকিউরিটি কমান্ড এবং জুরং পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তারা ব্যাপক অনুসন্ধানের মাধ্যমে এবং পুলিশ ক্যামেরা ও ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন ক্যামেরার ছবিগুলোর সাহায্যে দুই বাংলাদেশিকে সনাক্ত করে।
বৃহস্পতিবার আদালতে জেলা জজ টেরেন্স টে অভিযুক্তদের কেন্দ্রীয় পুলিশ বিভাগে এক সপ্তাহের জন্য রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
একজন বাঙালি দোভাষী নিশ্চিত করেছেন যে, অভিযুক্ত দুজনকে অভিযোগগুলো পড়ে শোনানো হয়েছে। তারা একটি ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে আদালতে হাজির হয়েছিল। আগামী ১৭ মার্চ ফের তাদের আদালতে তোলা হবে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিঙ্গাপুর পুলিশ বলেছে যে, তারা যৌন নিপীড়নের যে কোনো অভিযোগকে গুরুত্ব সহকারে নেয় এবং ‘অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে’।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সিঙ্গাপুরের জনসাধারণকে যৌন নিপীড়নের যে কোনো ঘটনা পুলিশের কাছে জানানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, যাতে যৌন অপরাধীদেরকে দৃঢ়ভাবে ও আইন অনুসারে মোকাবেলা করা যায় এবং তারা অন্য কোনো ব্যক্তির আর ক্ষতি করতে না পারে’।সূত্র-দেশ রূপান্তর