রাম বসাক, শাহজাদপুর ( সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
ঘুমন্ত মেয়ের গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর ফাঁসির দড়িতে ঝুলে আত্মহত্যা করলেন বাবা। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ১১ই মার্চ শনিবার সকালে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বিনায়েকপুর গ্রামে।
বিনায়েকপুর গ্রামের বাসিন্দা উল্লাপাড়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিদর্শক রাজিব হোসেন (৪০) তার শিশু মেয়ে রাকা খাতুনকে (৭) এভাবে খুন করে নিজে আত্মহত্যা করেন।ঘটনার খবর পেয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ দুপুরে মেয়ে এবং বাবার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
বিনায়েকপুর গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে চরম পারিবারিক গোলযোগের কারনে রাজিব হোসেন অনেকটা মানসিক ভারসাম্য হারান। আগে মোটরসাইকেলে অফিস করলেও মানসিক অসুস্থতার কারনে মাস কয়েক ধরে তিনি মোটরসাইকেল চালাতেন না।
শনিবার সকালে তার ৭ বছরের মেয়ে রাকা খাতুন শোয়ার ঘরের বিছানায় ঘুমাচ্ছিল। মা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ওই সময় রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন।
এসময় রাজিব ঘরের দরজা বন্ধ করে গামছা দিয়ে তার মেয়ের গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যার পর নিজেও রশি ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে এলাকাবাসী ধারনা করেছেন। পরে তার পরিবার ও পার্শ্ববর্তী লোকজন ঘরের দরজা ভেঙ্গে দেখেন মেয়েটির লাশ মেঝেতে পড় আছে ।
পাশে একটি গামছা পড়ে থাকতে দেখা যায়। রাজিব ঝুলছিলেন ফাঁসির দড়িতে। এঅবস্থা দেখে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশকে তারা খবর দেয়। শনিবার দুপুরে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য বাবা এবং মেয়ের লাশ দু’টি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
জানা যায়, কয়েকমাস আগে প্রবল মানসিক চাপে রাজিব ভারসাম্য হারান। আর এ কারনেই তিনি তার মেয়েকে হত্যার পর নিজে আত্মহননের পথ বেঁছে নিয়েছেন বলে তাদের ধারনা।
উল্লাপাড়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিশেষতঃ মেয়েটির হত্যাকান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া হবে। এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে মামলা হয়নি, তবে এর পিছনে অন্য কোন যোগসাজ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ প্রশাসন।
পুলিশ সুত্রে আর ও জানা জায়, পরিবার থেকে মামলা না করলে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করবে বলে জানান । উক্ত ঘটনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে