নিজস্ব প্রতিবেদক:
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দের চর এলাকার ভাঙন কবলিত ধলেস্বরী নদী তীরে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে রাতের আঁধারে বালু আনলোড করার সময় গত সোমবার (১৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৯ টার দিকে পূর্ব চান্দের চর ও পশ্চিম চান্দের চর এলাকার প্রায় তিন শতাধিক নারী পুরুষ নদী তীরে গিয়ে প্রথমে বাঁধা দিলে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা কথা না শুনলে পরে এলাকাবাসী ড্রেজারের পাইপ ভেঙ্গে দেয়।এ নিয়ে অবৈধ ব্যবসায়ীরা আড়ালে থেকে হুমকি দমকিও দিয়ে মামলার ভয় দেখাচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বালুচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী মো. আওলাদ হোসেন (বি.এ) জানান,চান্দের চর পরো এলাকায় বহু মানুষের বসবাস এখানে আছে স্কুল মাদ্রাসা বাজার সহ বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠান।বিগত কয়েক বছর যাবত ধলেশ্বরী নদী ভাঙনে এই এলাকার বিঘা বিঘা জমিজিরাত ইতোমধ্যে ধলেশ্বরী নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে।গত বছর স্থানীয় এলাকাবাসীর ব্যক্তিগত অর্থায়নে বাঁশ দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করে কোন মতে জমি টিকিয়ে রেখেছে। সেখানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ড্রেজিং লাগিয়ে ভাঙন কবলিত এই এলাকাকে আরো ভাঙতে চায়।এই বিষয়ে আমি সব আবগত আছি ইতোমধ্যে আমি সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিরাজদিখান থানার ওসি মহোদয়ের সাথে কথাও বলেছি।এইধরনের অবৈধ ব্যবসা করে এলাকার ক্ষতি কাউকেই করতে দেওয়া যাবেনা।
এবিষয়ে সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একে এম মিজানুল হক বলেন,এইসব ড্রেজার ব্যবসা করে যারা এলাকার জনগণের ক্ষতি করে ওরা যদি থানায় এসে ড্রেজার ভাঙ্গার অভিযোগ করে আমরা অভিযোগকারীর বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেবো।ওসি আরো বলেন,আমরা খবর পেয়ে তাদের কে ঘটনাস্থলে না পেয়ে মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে তাদের টেলিফোনে থানা থেকে সরাসরি যোগাযোগ করে ড্রেজার লাগানোর বিষয়ে নিষেধ করে দেই। তারাও আমাদের সাথে মৌখিক ভাবে অঙ্গীকার করে তারা এই ধরনের অবৈধ কাজ করবেনা।তারপরও রাতের আঁধারে এইসব কাজ করতে গেলে জনগণতো বাঁধা দেবেই।