প্লে অফে খেলার স্বপ্নটা আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল সিলেট সানরাইজার্সের। বাকি ছিল কেবলই আনুষ্ঠানিকতা। ঘরের মাঠে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ১২ রানে হেরে বিপিএলের এবারের আসর থেকে ছিটকে গেলো সিলেট। এদিকে সিলেটকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে প্লে অফ নিশ্চিত করলো সাকিব আল হাসানের বরিশাল।
সিলেট ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ২০০ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আক্রমণাত্বক শুরু করলেও জুটি বড় করতে পারেননি ইনগ্রাম এবং এনামুল হক বিজয়। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে সাকিবের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদ পড়লে ভাঙে ৩৪ রানের উদ্বোধনী জুটি। ডানহাতি এই ওপেনার ফিরেছেন মোটে ৭ রান করে।
এরপর মোহাম্মদ মিঠুনকে সঙ্গে নিয়ে দুর্দান্ত জুটি গড়েন ইনগ্রাম। শফিকুল ইসলামের ব্যাক অব লেংথের বল ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ঠেলে দিয়ে ২৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটার। ইনিংসের দশম ওভারে মেহেদি হাসান রানার বলে চারটি চার মেরে দলীয় ১০০ রান পূরণ করেন ইনগ্রাম।
ভালো শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি মিঠুন। ব্রাভোর লেংথ বলে স্লগ করতে গিয়ে সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১৪ বলে ১৯ রান করা ডানহাতি এই ব্যাটার। থিতু হতে পারেননি রবি বোপারাও। সাকিবের বলে স্টাম্পিং হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৯ রান করা সিলেটের অধিনায়ক।
সেঞ্চুরির পথে হাঁটতে যাওয়া এবং সিলেটকে জয়ের স্বপ্ন দেখানো ইনগ্রাম আউট হয়েছেন ৯০ রানে। নাজমুল হোসেন শান্তর ফুলার লেংথের বল তুলে মারতে গিয়ে ব্রাভোর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন ৪৯ বলে ১৬টি চার এবং এক ছক্কায় ৯০ রান করা ইনগ্রাম।
পরের বলে মিজানুর রহমানকেও আউট করেছেন শান্ত। শেষ দিকে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ২১ বলে ৩৪ রান এবং আলাউদ্দিন বাবুর ১২ বলে ২২ রান কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। বরিশালের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব, ব্রাভো এবং শান্ত।
এর আগে ব্যাটিং করে সাকিব আল হাসান-মুনিম শাহরিয়ার এবং ক্রিস গেইলের দারুণ ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটে ১৯৯ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন গেইল। এ ছাড়া মুনিম ৫১, সাকিব ৩৮ এবং শেষ দিকে ব্রাভো অপরাজিত ৩৪ রান করেছেন।