আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: সিলেটে জুড়ে জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে মাছব াজারে চওড়া দামে মাছ বিক্রি হচ্ছে। বিপাকের সম্মুখিন হয়ে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা বেশির ভাগ মাছ বাজারে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে চওড়া দামের কারণের দিন মজুর মানুষ।
শনিবার সরেজমিনে নগরীর বন্দরবাজার, আম্বরখানা, রিকাবীবাজার, সুবিদবাজার ও মদীনা মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া মাছের কেজি ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ মাছ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙাস মাছ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। কিছু কিছু বাজারে পাঙ্গাস মাছ ২০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রিরও অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে বাজারে চিংড়ি মাছ মাঝারি সাইজের প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায়, বড় সাইজের চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি দরে। ১৫ দিনের ব্যবধানে এসব মাছের দামে কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইলিশের দাম লাগামের বাইরে চলে গেছে। এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, যা ১৫ দিন আগে ছিল ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, যা আগে ছিল ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। আর ৪০০-৫০০ প্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, যা আগে ছিল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত।
একাধিক পাইকারী ব্যবসায়ী ও খুচরা বিক্রেতা জানান, প্রতিদিন বাজারে সব পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। জ্বালানিসহ আনুষাঙ্গিক জিনিসের দাম না কমলে, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকবে। তাছাড়া যে ভাবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে তাতে পরিবণ ভাড়া ভাড়ার কারণে আমরা মাছ ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে মাছ চওড়া দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। পরিবণ খরচও বাড়তি দামে মাছ ক্রয় করার কারণে আমরা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।