সিলেট প্রতিনিধিঃ মাহবুবুল হাসান নাহিদ
সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও বেবিচকের কর্মকর্তারা কয়েক দফায় বৈঠকও করেছেন। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আরও বাড়াতে আবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
বিগত কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা কার্যালয়ে বলেছে, ‘বিমানবন্দরে নিরাপত্তার ঘাটতি আছে। ঘাটতি পূরণে আরও কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলতে হবে।’ এর পরই বেবিচক চিঠি পাঠায়। আগেও এ বিষয়ে একাধিক চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ আছে। নতুন চিঠিতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ নিরাপত্তা-সরঞ্জাম বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছে। বিমানবন্দরে পাখি, বাদুড়, বেজি ও শেয়ালের উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় চিন্তায় পড়েছে কর্তৃপক্ষ। কোনো বিমানবন্দরেই পাখি মারার অস্ত্র নেই। এজন্য শতাধিক আগ্নেয়াস্ত্র কেনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, ‘সব বিমানবন্দরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সুপারিশ কার্যকর করা হচ্ছে। শাহজালালসহ সব বিমানবন্দরে নিরাপত্তার ফাঁক আছে; তা পূরণ করা হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য যা যা করা দরকার সবই করা হচ্ছে। আরও নিরাপত্তা-সরঞ্জাম আনা হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য কোনো ফাঁক রাখা হবে না।’
বেবিচকের কর্মকর্তারা বলেন, ‘পাখি ও শেয়াল মারার অস্ত্রই (এয়ারগান) নেই কোনো বিমানবন্দরে। জনবল সংকটও আছে। এই নিয়ে আতঙ্কে থাকে সরকারি-বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলো। পাখির সার্বক্ষণিক আনাগোনা থাকে বিমানবন্দরে। মাঝেমধ্যে পাখির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিমান। বিমানের উড্ডয়ন ও অবতরণের সময় পাখির আঘাতের ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে। বিভিন্ন দেশে পাখির আঘাতে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। ৩৭ বছরের পুরনো এয়ারগান রয়েছে বটে, তবে সেসব সচল নেই। এজন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি অস্ত্র কেনার। আগামী ৬ মাসে অন্তত অর্ধশত এয়ারগান কেনা হবে। এই জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ‘বর্তমানে দেশি-বিদেশি প্রায় ৪০টি বিমান সংস্থা বাংলাদেশে তাদের ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ৪৭টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বিমান চলাচল চুক্তি রয়েছে। বাংলাদেশ বিমানের পাশাপাশি বেসরকারি কয়েকটি এয়ারওয়েজ যাত্রীবাহী বিমান এবং ১০-১২টি বিমান সংস্থা কার্গো বিমান ও হেলিকপ্টার পরিচালনা করছে। প্রতিদিন ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করেন। বিমানবন্দরে নিরাপত্তার ঘাটতি রয়েছে।