ইয়াছির আরাফাত, স্টাফ রিপোর্টার।। সীমান্তে জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় বিজিবির সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেছেন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সংগঠন এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক লে: কমান্ডার মো: মেহেদী হাসান (অব:)
এর সাক্ষরিত এক বিবৃতি মাধ্যমে প্রকাশ করে।
বিবৃতিতে লেখা ছিলো, এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন গভীর প্রশংসার সঙ্গে লক্ষ্য করেছে যে, সম্প্রতি একাধিক ঘটনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সীমান্ত রক্ষা ও জাতীয় স্বার্থে অত্যন্ত পেশাদার, সাহসিকতাপূর্ণ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক স্থির ও ভিডিও চিত্রে সীমান্ত অতিক্রমকারী বিএসএফ সদস্যকে বিজিবির সদস্য কর্তৃক অস্ত্রবিহীন কৌশলে ও সুনিপুণ দক্ষতায় আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার প্রমাণ মিলেছে যা বিজিবির সক্ষমতা, শৃঙ্খলা ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ় অবস্থানের স্পষ্ট প্রমাণ।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যাকাণ্ডে বিজিবির (তৎকালীন বিডিআর) একটি ভয়াবহ সংকটময় অধ্যায়ের সাক্ষী হয়েছিল এই জাতি। সেই ঘটনা শুধুমাত্র একটি বাহিনীকেই নয়, বরং গোটা দেশের নিরাপত্তা কাঠামোকেই গভীরভাবে নাড়িয়ে দিয়েছিল। সেই বিভীষিকাময় অধ্যায়ের পর বিজিবি যে ধৈর্য, নিয়মানুবর্তিতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নিজেদের পুনর্গঠন করে যাচ্ছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
বিশেষ করে ২০২৪ সালের ০৫ আগস্টের পর থেকে বিজিবির ভূমিকা ক্রমেই পেশাদার, দায়িত্বশীল এবং গণমুখী হয়ে উঠছে। সাধারণ জনগণের মধ্যে এই বাহিনীর প্রতি আস্থার জায়গা তৈরি হওয়া আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক সংকেত।
আমরা অতীতেও দেখেছি-কীভাবে কিছু সময় বিজিবিকে ভোটারবিহীন নির্বাচন, রাতের ভোট ও বিরোধী দল দমনসহ নানান প্রকারের অবৈধ কাজে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, যা বাহিনীর পেশাদারিত্বে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল। তবে বর্তমান নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনায় বিজিবি যেভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করছে, তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। বিএসএফের সীমান্ত লঙ্ঘনের পর বিজিবির সজাগ ও সাহসী প্রতিক্রিয়া এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্তসমর্থন আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয়-জনগণ ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে একটি আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে উঠছে।
এক্স ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন বিজিবির এই সাহসী ও সময়োপযোগী ভূমিকার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছে। আমরা আশা করি ভবিষ্যতেও বিজিবি পেশাদারিত্ব, মানবিকতা ও জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাবে।
একই সাথে আমরা দেশের অভ্যন্তরে ও বাইরে সকল প্রতিক্রিয়াশীল, দেশবিরোধী ও ষড়যন্ত্রকারী শক্তিকে সতর্ক করে বলতে চাই-বাংলাদেশের মাটি, মানুষ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমরা সর্বদা ঐক্যবদ্ধ ও প্রস্তুত।