লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
বিজিবি ও বিএসএফ তাদের সাধ্যমতে সীমান্তে হত্যাকান্ড বন্ধে চেষ্টা করছেন। তবে সীমান্তে হত্যাকান্ড বন্ধ হচ্ছে না-এটা দু:খজনক।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় (২৪ জানুয়ারি) র্যাব-১৩ এর উদ্যোগে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায় তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ধর্মপ্রাণ মুসলমান। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। রাতে তাহাজ্জুদ পরে ঘুমাতে যান, ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পরে কুরআন তেলোয়াত করে কাজ শুরু করেন।
মন্ত্রী বলেন, জঙ্গীবাদকে জিরো টলারেন্স হিসেবে নেওয়া হয়েছে। র্যাব দেশব্যাপী জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ভূমিকা পালন করছে। র্যাবের শীতবস্ত্র বিতরণের প্রশংসার করে তিনি বলেন, শীতে আপনারা কস্ট পাচ্ছেন। তাই র্যাব আপনাদের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ করতে এসেছে। সন্ত্রাসবাদ দমনের পাশাপাশি মানবিক কাজেও র্যাব প্রশংসনীয় কাজ করছে।
ভারতকে আমরা বলেছি যাতে লিথ্যাল ওয়েপন (মরনাস্ত্র) ব্যবহার না হয়, তারপরেও সীমান্তে ব্যবহার হচ্ছে। আমরা আশা করি এটা বন্ধ করতে পারবো।
তিনি বলেন, আমাদের একটাই টার্গেট, বর্ডার কিলিং বন্ধ করা। ভারত সরকারও সেদিক থেকে আন্তরিক। বিজিবি-বিএসএফ প্রতিনিয়ত মিটিংয়ে বসে। আমরা সর্বাত্মক চেস্টা করছি হত্যা বন্ধ করতে।
মাদক বিষয়ে তিনি বলেন, সর্বনাশা মাদক বিভিন্ন সীমান্ত হয়ে দেশে আসছে। বিশেষ করে মিয়ানমার ও মিজোরাম সীমান্ত দুর্গম হওয়ায় মাদক পাচার রোধ মুশকিল। আমরা বিজিবির বিওপি ও ক্যাম্প বাড়িয়ে দিয়েছি। তাদেরকে হেলিকপ্টার দিয়েছি যাতে টহল সুবিধা হয়। বিজিবি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তররের সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে।
এতে দুই হাজারেরও বেশি গরীব, দুস্থ ও অসহায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়।
আরও বক্তব্য রাখেন লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড, মতিয়ার রহমান, র্যাব মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্ণেল কামরুল হাসান, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল আলীম মাহমুদ, জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, র্যাব-১৩, রংপুর এর অধিনায়ক ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।