বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনভূমি সুন্দরবনে নতুন চারটি পরিবেশবান্ধব ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এগুলোর ৩০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ২০২১ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পটি আগামী ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্প ব্যয় প্রায় ২৫ কোটি টাকা।
“সুন্দরবনে পরিবেশ বান্ধব পর্যটন বা ইকো ট্যুরিজম সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন” প্রকল্পের আওতায় ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্রগুলো তৈরি করা হচ্ছে। প্রকল্পটি সুন্দরবনের পশ্চিম ও সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
পর্যটনকেন্দ্রগুলো হচ্ছে- সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের শেখেরটেক ও কালাবগী, শরণখোলা রেঞ্জের আলীবান্ধা এবং চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিক।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনের ভেতরে বর্তমানে সাতটি পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- করমজল, হারবাড়িয়া, কটকা, কচিখালী, দুবলার চর, হিরন পয়েন্ট ও কলাগাছী। যেখানে প্রতি বছর প্রায় দুই লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেন। তবে এই সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এই সাতটি জায়গায় এতো বেশি মানুষের যাতায়াতে ঝুঁকির মুখে পড়ছে সুন্দরবনের সার্বিক পরিবেশ।
তাই ভ্রমণ আরও সহজ করার জন্য পরিবেশবান্ধব নতুন স্পট তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বনবিভাগ। এর অংশ হিসেবে ২০২১ সালে সুন্দরবনের পশ্চিমে খুলনা রেঞ্জের শেখেরটেক ও কালাবগী এবং সুন্দরবন পূর্বে শরণখোলা রেঞ্জের আলীবান্ধা ও চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিকে পর্যটন স্পট গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়।
জানা গেছে, প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র করা হচ্ছে।
এদিকে, নতুন এ প্রকল্পের আওতায় ৭টি ফাইবার বডি ট্রলার, তিনটি পন্টুন ও গ্যাংওয়ে, তিন কিলোমিটার আরসিসি সড়ক, ছয়টি পাবলিক টয়লেট, সাড়ে আট হাজার ঘনমিটার পুকুর খনন, একটি শেডশহ প্রদর্শনী ম্যাপ, ৩০টি আরসিসি বেঞ্চ নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়াও, পাঁচটি গাইড ম্যাপ, ২০টি ডাস্টবিন ও পর্যটকদের জন্য ১০টি পথ নির্দেশনা তৈরি করা হচ্ছে।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, ভবিষ্যতে সুন্দরবনে ইকো ট্যুরিজম উন্নয়ন করার জন্য সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে নতুন চারটি ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র উন্নয়নের কাজ চলছে। অবকাঠামোগত সুবিধা না থাকায় অনেক পর্যটকই আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও সুন্দরবনে যেতে পারছেন না। ট্যুরিজম কেন্দ্রগুলো নির্মাণের পর পর্যটকরাও লাভবান হবেন।