Thursday , 28 March 2024
শিরোনাম

সুড়সুড়ি দিলে হাসি পায় কেন?

সুড়সুড়ি পেলে অনেকের চেহারায় অস্বস্তি ফুটে ওঠে। আবার অনেকে হেসে গড়াগড়ি খেতে খেতে হাত-পা ছোড়ে। এর কারণ হচ্ছে- সুড়সুড়ির প্রকারভেদ।

আন্ডার আর্ম ও পেটের মতো স্থানে আঙুল চালালে যে গভীর সংবেদনশীলতা সৃষ্টি হয়, তা হচ্ছে গার্গেলিসিস টিকল। তখন আমরা হাসি। আবার ত্বকের উপর হালকা স্পর্শ বা কোনো বস্তু নড়াচড়া করলে শিরশিরে অনুভূতি হয়। তখন হাসির বদলে অস্বস্তি হয়।

বাইরের ত্বক হালকা স্পর্শ পেলে ত্বকের নিচে নার্ভের শেষ অংশ উদ্দীপ্ত হয়। এ উদ্দীপনা আমাদের মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রে সংকেত পাঠায়। ফাংশনাল রিজোন্যান্স ইমেজিং মেশিন (এফএমআরআই) ব্যবহার করে গবেষকরা দেখেছেন, মস্তিষ্কের দু’টি অঞ্চল সুড়সুড়ি অনুভূতি তৈরি করে। এর মধ্যে সোমাটোসেনসরি কর্টেক্স স্পর্শকে বিশ্লেষণ করে। অন্যদিকে অ্যান্টেরিওর সিঙ্গুলেটেড কর্টেক্স মজার অনুভূতি তৈরি করে।

অন্য একটি এফএমআরআই গবেষণায় দেখা গেছে, কৌতুক শুনে হাসা ও সুড়সুড়ি পেয়ে হাসা মস্তিষ্কের রোলান্ডিক ওপরকুলাম অঞ্চলকে সক্রিয় করে। যা আমাদের ফেসিয়াল মুভমেন্ট ও আবেগীয় প্রতিক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে।

অনেকে সুড়সুড়িকে দারুণ ভয় পায়। দূর থেকে আঙুল নাড়ানো দেখেলেই তাদের খবর হয়ে যায়। কিন্তু সুড়সুড়ি কিন্তু হার্টের জন্য ভালো জানো? হ্যাঁ, এটা হৃৎপিণ্ডের স্ট্রেস কমায়। বাল্টিমোরের ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের নিউরোসায়েন্টিস্ট রবার্ট প্রোভিন তার Laughter: A Scientific Investigation বইয়ে বলেছেন, সুড়সুড়ি বাবা-মা ও সন্তানের মধ্যে বন্ধন তৈরি করে। এটি মা ও শিশুর মধ্যে যোগাযোগের প্রথম পথ।

আর হ্যাঁ, আমরাই কেবল সুড়সুড়ি পেলে শরীর বাঁকিয়ে হেসে উঠি না। বানর আর ইঁদুররাও কিন্তু সুড়সুড়িতে মজা পায়। তথ্যসূত্র: অনলাইন।

 

Check Also

নীলফামারী জেলার চিলাহাটিতে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে

জানা গেছে, জেলার চিলাহাটির মুক্তিরহাটে ডাঙ্গাপাড়া পূর্ব ভোগডাবুড়ী বাংলাদেশ রাইফেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x