সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় অনেকগুলো পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যটক সীমিত করার পাশাপাশি রেজিস্ট্রেশন বা অনুমতি ছাড়া কোনো পর্যটক সেন্টমার্টিনে যেতে পারবে না বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ।
বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলে সেন্টমার্টিন দ্বীপে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে কনসালটেশন সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান। ইউনিডোর সহযোগিতায় পরিবেশ অধিদপ্তর এই সেমিনারের আয়োজন করে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ বলেন, পাহাড় কাটা ও জলাশয় ভরাটের বিষয়ে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। এটার জন্য জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে। দেশের নদীগুলোর দূষণ নিয়ে আমরা কাজ করছি। নদীগুলোকে দূষণমুক্ত রাখার জন্য ইতিমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সেন্টমার্টিনি পর্যটক সীমিত করে পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষার পাশাপাশি সেখানকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করা হবে। কক্সবাজার শহরকে গুরুত্ব দিয়ে প্লাস্টিকমুক্ত করার জন্য খুব দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।’
এ সময় তিনি সাগরকে প্লাস্টিকমুক্ত রাখতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সেমিনারে, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষক, পরিবেশবিদ, ছাত্র প্রতিনিধি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, কোস্টগার্ড কর্মকর্তা, টুরিস্ট পুলিশসহ নানা শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।