বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত মাসে দেশের সীমান্তসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৯২ কোটি ৪৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকার চোরাচালান পণ্যসামগ্রী এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে।
বিজিবি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, জব্দ চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৩১ কেজি ১৯ গ্রাম স্বর্ণ, ২৬ কেজি ৭০৬ গ্রাম রূপা, ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৮ কসমেটিক্স সামগ্রী, ১৯ হাজার ৫৬ ইমিটেশন গহনা, ২৪ হাজার ৩১২টি শাড়ী, ১০ হাজার ৮০৬ থ্রিপিস/শার্টপিস/ চাদর/কম্বল, ১ হাজার ৭২০ ঘনফুট কাঠ, ৬ গাহার ৫৩৫ কেজি চা পাতা, ১ লাখ ১৮ হাজার ৯১০ কেজি কয়লা, ১১টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ৩টি ট্রাক, ৫টি পিকআপ, ৬টি প্রাইভেটকার, ৪টি চাঁন্দের গাড়ী, ৩৫টি সিএনজি/ইজিবাইক এবং ৮৭টি মোটরসাইকেল।
অভিযানকালে ৪টি পিস্তল, বিভিন্ন প্রকার গান ৯টি, ম্যাগাজিন ৭টি এবং ২৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়াও গত মাসে বিপুল পরিমাণ মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫৭পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১০ কেজি ৯৯১ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৩০ কেজি ৪১৫ গ্রাম হেরোইন, ১১ হাজার ৭০৬ বোতল ফেনসিডিল, ২৩ হাজার ৮৩৯ বোতল বিদেশী মদ, ৬৪১ লিটার বাংলা মদ, ৫ হাজার ৭১৯ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ২১২ কেজি গাঁজা, ৪ লাখ ৫৩ হাজার ১০৬ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৩৫ হাজার ৬৭৮টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, ৪ হাজার ১০৭টি ইস্কাফ সিরাপ, ৩ কেজি ৮ গ্রাম কোকেন, ২ হাজার ৭৪৪ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ২ হাজার ৮০২টি এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ১৪ লাখ ৩৩ হাজার ১০৬ পিস বিভিন্ন প্রকার ওষুধ এবং ১ হাজার ৪৪৮টি অন্যান্য ট্যাবলেট রয়েছে।
শরীফুল ইসলাম জানান, সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৫৬ জন চোরাচালানীকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৭৯ জন বাংলাদেশী নাগরিক, ৪ জন ভারতীয় নাগরিক এবং ১৩১ জন মায়ানমার নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।