আব্দুর রশিদ, খুলনা :
ডুমুরিয়ার সৈয়দ ঈসা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেণ্ট কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত হওয়ায় মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। জানাযায়,খায়রুল ইসলাম ২০০১সালে চাকরী দেওয়ার কথা বলে রহিমা বেগম (৬০) নামের এক মহিলার নিকট থেকে ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে মাষ্টার আলাউদ্দীনের কাছে দেয় চাকরীর জন্য। আলাউদ্দীনের সাথে টাকার বিষয়ে কথা বলতে গেলে সে তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠছে। এদিকে নিরুপায় ওই মহিলা দীর্ঘদিন ধরে খায়রুলের কাছে টাকা চাইতে গেলে খায়রুল চাকরী হবে বলে বিভিন্ন টালবাহানা করে ঘুরাতে থাকে। খায়রুল রহিমা বেগমকে বলে আরেকটু ধর্য ধরেন চাকরী হবে বলে আশ্বাস দেন। এ দিকে পাওনা টাকার চাপের মুখে খায়রুল ইসলাম ও মাষ্টার আলাউদ্দীনের যোগসাজসে রহিমা বেগমকে বলে সমিতি থেকে টাকা তুলতে হবে আমাকে আঠারমাইল বাজারে ডেকে এনে লোনের কথা বলে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। আমি পরে জানতে পারলাম ওরা নাকি ডুমুরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বারবার অধ্যক্ষ স্যারকে নিয়ে খারাপ খারাপ কথা সাজিয়ে আবেদন করেছে। আমি শফত করে বলতে পারি আমার ও অধ্যক্ষ স্যারকে জড়িয়ে যে সব কুরুচিপূর্ণ কথা লিখে অভিযোগ করেছে তাহা সস্পুর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়াট। আমি এমন মহিলা না। আমার ৬০ বছর বয়স আমার ছেলে মেয়ে বিয়ে দিয়েছি নাতীপুতনী হয়েগেছে আমি সমাজে মুখ দেখাব কি করে। আমি ওদের নামে মামলা করব। এক প্রশ্নের জবাবে রহিমা বেগম বলেন কলেজের অধ্যক্ষ জিএম আব্দুস সাত্তারকে আমি চিনি না, কোন দিন দেখিওনি। তার সাতে আমার কোন খারাপ সম্পর্ক হওয়ার প্রশ্নও ওঠে না । এটা খায়রুল ও মাষ্টার আলাউদ্দীনের কারসাজি করে অধ্যক্ষ স্যারকে হেয়পতিপন্ন করার জন্য তারা এই জঘন্য কাজ করেছে। এব্যাপারে রহিমা বেগমের সাথে কথা হলে সাংবাদিকদের বলেন আমার বয়স ৬০ বছর হয়ে গেছে নাতি পুতনী বিয়ে দিয়েছি। আমি মিথ্যা কথা বলতে পারব না। আমি কলেজের অধ্যক্ষ স্যারকে কোন দিন দেখিনি। তার সাথে আমার টাকা পয়সার কোন লেনদেন হয়নি। মাষ্টার আলাউদ্দীন আর খায়রুল আমাকে সমিতি থেকে টাকা উঠানোর কথা বলে কাগজে সহি করে নিয়েছে। আমি স্যারের বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ করিনি। এটা মাষ্টার আলাউদ্দীন আর দর্জি খায়রুলের কাজ। আমি যাকে চিনি না জানিনা তার বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ করব? অধ্যক্ষ স্যার আমাকে যেখানে যেয়ে বলতে বলবে আমি আমি বলব। আমি খায়রুল আর আলউদ্দীনের বিরুদ্ধে কেস করব। আমি ৫ কাঠা জমি বিক্রি ও সমিতি থেকে টাকা তুলে খায়রুলের কাছে ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছি। এখন টাকা চাইলে আমার সাথে বাহানা করছে। আমি ওর নামে মামলা করব।
বিভিন্ন সুত্রে জানাযায়, মাষ্টার আলাউদ্দীন একজন এলাকার চিহ্নিত পাখি শিকারী, এছাড়াও এলাকায় কয়েকবার মহিলার সাথে কুকাম করতে গিয়ে ধরা পড়েন। কলেজ তাকে একবার শোকর্জও করেছিল। তখন সে অঙ্গীকার করে চাকরী ফিরেপায়। তার স্বাভাব চরিত্র কেমন তাহা এলাকার খেজ খবর নিলে জানা যাবে। সৈয়দ ঈসা বিএম কলেজের জেনারেল শাখার বিতর্কিত চরিত্রহীন শিক্ষক আলাউদ্দীনকে চুক্তি ভিত্তিক বাংলা প্রভাষক পদে নিয়োগ নিয়ে অত্র কলেজেে নামে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই চুক্তিতে উল্লেখ থাকে তাকে নিবন্ধনধারী হয়ে পরবর্তীতে সরকারী বেতন ভাতার জন্য পাস করতে হবে। এদিকে তিনি নিবন্ধন না হয়ে কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন। তারই অভিযোগের ভিত্তিতে কলেজের অধ্যক্ষ স্যার যাবতীয় প্রমাণাদি দেখিয়ে তাকে সকল অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়াট প্রমানিত হয় ।
উপজেলা শিক্ষা অফিসারের উপর ন্যাস্ত অভিযোগ গুলি আমলে নিয়ে দু’পক্ষের শুনানির পর শিক্ষক আলাউদ্দীনের সকল অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা ভিত্তিহীন বলে বিবেচিত হয়েছে। এদিকে তিনজন অভিযোগ কারীদের সাথে কথা বলে জানাযায়, অভিযোগকারী খায়রুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন আমি জমি বিক্রি করেছিলাম টাকার প্রয়োজনে অধ্যক্ষ স্যার আমাদের টাকা দিয়েছেন। আমি জমির জন্য একটা পিয়ের চাকরী চেয়েছিলাম। যেহেতু আমি টাকা নিয়ে জমি দিয়েছি সেহেতু আমি আর চাকরী পেতে পারি না।
তায় আমি আমার অভিযোগ তুলে নিয়েছি। আমি মাষ্টার আলাউদ্দীনের কু-পরামর্শে অভিযোগ করে ভুল করেছি। অন্যদিকে অপরজন অভিযোগকারী আব্দুল গণি বলেন, মাষ্টার আলাউদ্দীন আমাকে খুব ধরাধরি করছিল তুমি একটা ইউএনও বরাবর অভিযোগ করো। আমি তার প্ররোচনায় পড়ে অভিযোগ করি। যখন বুঝলাম ব্যাক্তি আলাউদ্দীনের স্বার্থ হাসিলের জন্য আমাকে ব্যাবহার করছে বুঝলাম তখন আমি স্যারের সাথে দেখা করে বলি স্যার আমি ভুল করেছি আমি আপনার বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ তুলে নিব। আমি আমার ভুল বুঝতে পেরে ডুমুরিয়া শিক্ষা অফিসারের সামনে যেয়ে লিখিত আবেদন করে আমার অভিযোগ প্রাতাহার করি।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেখ ফিরোজ আহম্মদ সাংবাদিকের বলেন, ইউএনও স্যার তিনটি অভিযোগ পত্র আমার উপর তদন্তভার দিয়েছেন। আমি সকল অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে নোটিশ দিয়ে ডেকেছি। অভিযোগ কারীরা নির্ধারিত দিনে ২ জন হাজির হয়ে তাদের বক্তব্য লিখিত আমার কাছে দিয়েছে। অভিযোগকারী আলাউদ্দীন আসেনি তার হাজিরা দেওয়ার কথা তাও দেয়নি। অন্য দুইজন তাদের বক্তব্য লিখিত ভাবে আমাকে দিয়েছে। ওই দুই জন তাদের বক্তব্যে অভিযোগ তুলে নিয়েছে। তদন্ত শেষে হলে রির্পোট প্রদান করা হবে।