রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী, রূপালী ও অগ্রণী ব্যাংকে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের এমডি মো. আফজাল করিমকে সোনালী ব্যাংকে, রূপালী ব্যাংকের এমডি হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন একই ব্যাংকের ডিএমডি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ও সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি মো. মুরশেদুল কবীরকে পদোন্নতি দিয়ে অগ্রণী ব্যাংকের এমডি নিয়োগ করা হয়েছে। রবিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এ বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণে ব্যাংক তিনটির চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। প্রত্যেক এমডিকে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে সোনালী ব্যাংকে, আনসার-ভিডিপি ব্যাংকের এমডি শামস-উল-ইসলামকে অগ্রণী ব্যাংকে এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের এমডি আতাউর রহমানকে রূপালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিন বছর রূপালী ব্যাংকের এমডি পদে দায়িত্ব শেষে ২০১৯ সালের ২০ আগস্ট নতুন করে তিন বছরের জন্য সোনালী ব্যাংকের এমডির দায়িত্ব পান আতাউর রহমান প্রধান। একই দিনে অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ শামস-উল ইসলামকে দ্বিতীয় দফায় একই পদে বহাল রাখা হয়। ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে দেওয়া হয় রূপালী ব্যাংকের এমডির দায়িত্ব।
চলতি বছরের মধ্য ফেব্রুয়ারিতে সোনালী ব্যাংকের এমডি আতাউর রহমান প্রধান ও অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ শামস-উল ইসলামের দুর্নীতির খোঁজে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোনালী ব্যাংকের এমডির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রূপালী ব্যাংকের এমডি থাকাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেট নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৪ কোটি টাকা খরচ করেছেন। আর অগ্রণী ব্যাংকের এমডির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ঘুষ ও অবৈধ সুবিধা দিয়ে ঋণ প্রদানসহ নিয়োগ ও বদলি-বাণিজ্য করে অর্জিত অবৈধ অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। এ জন্য অগ্রণী ব্যাংকের এমডি ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব তলব করে দুদক। আর সোনালী ব্যাংকের এমডির বিষয়ে তথ্য চেয়ে রূপালী ব্যাংকের কাছে চিঠি দেওয়া হয়।