সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত প্রবাসী সবুজ হোসাইনের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
সবুজ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চরমোহনা ইউনিয়নের বাবুরহাট এলাকার রাঢ়ী বাড়ির মাছ ব্যবসায়ী মো. হারুনের বড় ছেলে। তারা চার ভাইবোন। এরমধ্যে সবুজ পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান।
সবুজের বাবা হারুন কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ছেলে হারিয়ে এখন আমি নিঃস্ব। ভাগ্য বদলের আশায় ছেলেকে প্রবাসে পাঠাই। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় সে চলে গেল।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সবুজের বাবা হারুন মাছ বিক্রি করে সংসার চালায়। আর্থিকভাবে তেমন একটা স্বচ্ছল নয়। প্রায় ৩ বছর আগে বড় ছেলে সবুজকে চাকরির উদ্দেশ্যে সৌদি আরব পাঠানো হয়। তার পাঠানো টাকাতেই পরিবার স্বচ্ছলতার মুখ দেখেছে। খুব শিগগিরই সবুজ দেশে ফেরার কথা ছিল। এর আগে সে ওমরাহ করবে বলেছিল। কিন্তু ওমরাহ করতে যাওয়ার পথে সোমবার (২৭ মার্চ) বাস দুর্ঘটনায় সবুজ আহত হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সৌদি থেকে খবর আসে সবুজ মারা গেছে।
এলাকাবাসী বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। ছেলেটি ভালো ছিল। তার পরিবারের সবাই কান্নাকাটি করছে। সবুজের মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।