২০১৫ সালের এক প্রাণঘাতী বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহভাজন এক সৌদি নাগরিক বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছেন। এতে আরও চার জন আহত হয়েছেন।
বুধবার সৌদি আরবের জেদ্দায় এ ঘটনা ঘটেছে। নিরাপত্তা বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করলে সে বিস্ফোরণ ঘটায়। শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা এসপিএ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
২০১৫ সালে সৌদি আরবের আভা শহরের ওই শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর ১১ সদস্য ও চার প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত হয়েছিল। এ হামলার সঙ্গে আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল শেহরি বলে শনাক্ত হওয়া এই সন্দেহভাজন জড়িত ছিলেন বলে দাবি পুলিশের।
আল শেহরি বুধবার রাতে জেদ্দার আল সামের এলাকায় বিস্ফোরক বেল্টের বিস্ফোরণ ঘটান, এতে তার মৃত্যু হয় এবং নিরাপত্তা বাহিনীর তিন সদস্য ও এক পাকিস্তানি নাগরিক আহত হন।
আল শেহরি সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ একটি সন্ত্রাসী সেলের সদস্য ছিল বলে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো সন্দেহ করে আসছিল। এই সন্ত্রাসী সেলটিই ২০১৫ সালে আভার একটি মসজিদে বোমা হামলা চালিয়েছিল, যেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা নিয়মিত নামাজ পড়তে যেতেন।
ওই হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর ১১ সদস্য এবং চার বাংলাদেশি নাগরিকসহ মোট ১৫ জন নিহত ও ৩৩ জন আহত হয়।
এই বোমা হামলার সঙ্গে ছয় সৌদি নাগরিক জড়িত বলে ২০১৬ সালের প্রথমদিকে জানায় সৌদি সরকার। এরপর তাদের গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করা হয়। এই ছয় জনের মধ্যে আল শেহরি একজন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চলতি শতাব্দীর প্রথম দশকে সৌদি আরবে ধারাবাহিক জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছিল। সে সময় নিরাপত্তা বাহিনী ও পশ্চিমা লক্ষ্যস্থলগুলোর ওপরও হামলা চালানো হয়।
এসব হামলার সঙ্গে ইসলামিক স্টেট (আইএস), আল কায়েদা ও অন্যান্য গোষ্ঠী জড়িত ছিল। ওই দশকের পর থেকে হামলার ঘটনা বহুলাংশে হ্রাস পেলেও ২০২০ সালে জেদ্দায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের এক স্মরণানুষ্ঠানে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলা চালানো হয়, এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিল।