রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া বিশাল অংকের টাকা প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে দিয়ে সৌদি আরবে প্রশংসায় ভাসছেন আব্দুর রহমান প্রধান নামে এক বাংলাদেশি হাজী। আব্দুর রহমান ঢাকার ডেমরা এলকার বাসিন্দা। হজ পালনের উদ্দেশে তিনি গতমাসে সৌদি আরবে যান।
এক ফেসবুক পোস্টে আব্দুর রহমান জানান, গত সোমবার তিনি মদিনার মসজিদে নববীর পথে বিদেশি মুদ্রার একটি বান্ডিল পড়ে থাকতে দেখে তা নিজের হাতে তুলে নেন। বান্ডিলে প্রায় ৭ লাখ আফ্রিকান ফ্রাঙ্ক ছিল (বাংলাদেশি টাকায় ১ লাখ টাকার বেশি)। আব্দুর রহমান সঙ্গে সঙ্গেই টাকাগুলোর প্রকৃত মালিককে খুঁজতে থাকেন। ওই টাকার প্রকৃত মালিক ছিলেন বুরকিনা ফাঁসোর এক হাজী।
‘কিছু আফ্রিকান ফ্রাঙ্ক পাওয়া গেছে’, এমন কথা লিখে একটি সাইনবোর্ড গলায় ঝুলিয়ে আব্দুর রহমান মসজিদে নববীর আশেপাশে টাকাগুলোর প্রকৃত মালিককে খুঁজতে থাকেন।
এভাবে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বুরকিনা ফাঁসো থেকে আসা এক হাজী দাবি করেন টাকাগুলোর মালিক তিনি। ওই হাজী পরে নিজের দাবির পক্ষে উপযুক্ত প্রমাণ দিলে আব্দুর রহমান তাকে তার টাকা ফিরিয়ে দেন। এসময় বুরকিনা ফাঁসোর ওই হাজী আব্দুর রহমানকে আবেগে জড়িয়ে ধরেন।
আব্দুর রহমানের এই ঘটনা ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।
মদিনায় বাংলাদেশ হজ মিশনের একজন কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশি হাজী আব্দুর রহমানের এই মহানুভবতায় সৌদি আরবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। আমরা ওই হাজীকে ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য তার অবস্থান জানার চেষ্টা করছি।
সম্প্রতি, মতিউর রহমান নামের এক বাংলাদেশী হাজীকে সৌদি কর্তৃপক্ষ ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে আটক করে। ওই ঘটনার ভিডিওটিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ঘটনাটি বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে। তারপরই এলো আব্দুর রহমানের এই মহানুভবতার গল্প। আব্দুর রহমানের এই মহানুভবতায় সেই ক্ষুন্ন ভাবমূর্তি কিছুটা হলেও পুনরুদ্ধার হয়েছে।
সূত্র -দেশ রূপান্তর