করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনায় নিয়ে অন্যান্য দেশ থেকে সৌদি আরবের যেতে এতোদিন দেখাতে হতো করোনাভাইরাসের পিসিআর পরীক্ষার সনদ। সেখানে গিয়ে থাকতে হতো কোয়ারেন্টাইনে। এখন থেকে এই দুইটির কিছুই করতে না হলেও একটি স্বাস্থ্য বীমা লাগবে।
শনিবার সৌদি আরব এই ঘোষণা দেয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসায় প্রায় সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নিয়ে ভ্রমণ বিধির এই নতুন নিয়ম চালু করেছে সৌদি সরকার। শনিবার থেকেই কার্যকর হয়েছে এই নির্দেশনা।
সৌদি গেজেট জানিয়েছে, বিদেশি যাত্রীদের সৌদি আরবে ঢোকার জন্য এখন শুধু বাড়তি একটি স্বাস্থ্য বীমা লাগবে, যাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে সেই খরচ বহন করা যায়।
এছাড়াও, খোলা জায়গায় মাস্ক পরা এবং সামজিক দূরত্ব বজায় রাখার বাধ্যবাধকতা তুলে নেয়া হয়েছে। তবে বেশি লোকসমাগমে মাস্ক পরার নিয়ম বহাল রেখেছে দেশটি।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অনুষ্ঠান আয়োজন বা লোকসমাগমে এখন আর কোনো বাধা নেই। মক্কার মসজিদুল হারাম এবং মদিনা মসজিদে নববীসহ দেশটির সব মসজিদ থেকেও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে মসজিদের ভেতরে সবাইকে মাস্ক পরতে হবে।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে এ বছরের জানুয়ারি মাঝামাঝিতে আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল সৌদি সরকার। শিথিল করা হয়েছে এ নিষেধাজ্ঞাও।
দক্ষিণ আফ্রিকা, নমিবিয়া, বতসোয়ানা, জিম্বাবুয়ে, লেসোথো, ইসোয়াতিনি, মোজাম্বিক, মালাউই, মরিশাস, জাম্বিয়া, মাদাগাস্কার, অ্যাঙ্গোলা, সিসিলি, কমোরোস, নাইজেরিয়া, ইথিওপিয়া ও আফগানিস্তান থেকে যাত্রীরা এখন সরাসরি ফ্লাইটে সৌদি আরবে যেতে পারবেন।
এএফপি বলছে, করোনার কারণে সৌদি আরবে মুসলিম তীর্থযাত্রীদের আগমন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। মূলত, ইবাদতের উদ্দেশে সারা বিশ্ব থেকে মুসল্লিরা মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে ভ্রমণ করার ফলে সৌদি ব্যাপক অর্থ উপার্জন করে থাকে, যা বছরে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার।