মোবাইল ফোনে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে এসে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছে রাজিব হোসেন (২৭) নামের এক যুবককে। বুধবার (১৭ আগস্ট) পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের চরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার(১৮ আগষ্ট) ঘটনাটি জানাজানি হয়। প্রেমিক রাজিব চরপাড়া গ্রামের দোলাল প্রামানিকের ছেলে। আর প্রেমিকা ওই গ্রামের হেলাল প্রামানিকের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার (১৭ আগস্ট) সকালে অভিযুক্ত গৃহবধু (৩৫) তার বাড়িতে কেউ না থাকায় প্রেমিক রাজিব হোসেনকে তার বাড়িতে ডেকে নেন। এরই মধ্যে গৃহবধুর স্বামী বাড়িতে এসে তাদের এক ঘরের মধ্যে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন। তিনি এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাদের আটকে রাখেন। খবর পেয়ে বেলা ১১ টার দিকে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’জনকে পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান। চেয়ারম্যান হেদায়তুল হক তাদেরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করার পরামর্শ দেন। কিন্তু ইউপি মেম্বার সালিশী বৈঠক করেন।
সালিশী বৈঠকে অভিযুক্ত গৃহবধু বলেন, রাজিবের সাথে তার চার বছর আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয়। কথাবার্তা বলার এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক সময় রাজিব তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দেয়। এতে তিনি রাজি না হলে একদিন জোর করে তাকে ধর্ষণ করেন। সে সময় রাজীব তাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বস্ত করেন। এরপর থেকে মাঝে মাঝেই তিনি তার (গৃহবধুর) বাড়িতে আসতেন। রাজিব হোসেন তাদের মধ্যে গড়ে ওঠা অবৈধ সম্পর্কের কথা স্বীকার করলেও প্রেমের কথা অস্বীকার করেন।
এরপর সালিশী বৈঠকে গৃহবধুকে দিয়ে তার আগের স্বামীকে ডিভোর্স করানো হয় এবং পরকীয়া প্রেমিক রাজিবের সাথে বিয়ে দেয়া হয়।
সালিশী বৈঠকের কথা স্বীকার করে ৭ নং ওয়ার্ড এর মেম্বার শফিকুল ইসলাম বলেন, ৫ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে দেয়া হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে এলাকার আলেমরা জানান, ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক তালাকের তিন মাস ১৩ দিন পর বিয়ে দেয়া যায়। এ সময়ের আগে বিয়ে দিলে তা শরীয়ত সম্মত হবে না।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসি মুঃ ফয়সাল বিন আহসান শুক্রবার (১৯ আগষ্ট) বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু গৃহবধুর কোন অভিযোগ না থাকায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি।