প্রযুক্তির সান্নিধ্যে বর্তমান যুগে ভ্রমণ-পিয়াসী মানুষের সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনি সারা বছরই বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের ভিড় স্পেনের অন্যতম বন্দর নগরী ভূমধ্যসাগরের ২৭ কিমি বালুকাময় সৈকত এবং গল্ফ কোর্সের পটভূমি অপরূপ সৌন্দর্যের সূর্য নগরী খ্যাত মারবেলা।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর নৈসর্গিক স্থাপত্য কলা, নিদর্শনের দর্শনীয় এই নগরীতে পর্যটকদের জন্য প্রধান আকর্ষণের বিষয়। স্পেনের আন্দালুসিয়া অঞ্চলের এই নগরীতে প্রতি বছরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের এবং নৈসর্গিক স্থাপত্য কলা, নিদর্শন উপভোগ করতে হাজারও পর্যটকের ভিড় জমে। পুরো বছরজুড়ে পর্যটকদের আনাগোনা থাকায় দেশটির অন্যানো শহরের তুলনায় বেশি ব্যবসা বাণিজ্য দিনদিন প্রসারিত হচ্ছে।
স্পেনের রাজধানী শহর মাদ্রিদ থেকে ৫শত ৮৫ কিলোমিটার দূরবর্তী এই শহরে বাংলাদেশিদের বসবাস খুবই নগন্য। প্রায় ৪০ জন প্রবাসী বাংলাদেশি এই শহরে বিভিন্ন পেশায় কর্মরত। সম্প্রতি বাংলাদেশিরা রেস্তোরাঁ ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে যাচ্ছে। বিশেষ করে পর্যটন নির্ভর এই শহরে অবস্থানরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা রেস্তোরাঁ ব্যবসায় বেশ আগ্রহী হচ্ছেন। এতে নতুন কর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।
স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মারবেলা বসবাসরত বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দল এসব কথা তুলে ধরেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) মাদ্রিদে দূতাবাসের হলরুমে ব্যবসায়ীরা রাষ্ট্রদূতকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। বাংলাদেশি ব্যবসায়ী জাছিম আহমদ, শিপলু সালাম ও মনজুর আহমদ এ সময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে পরিচিত হন।
স্পেনের সূর্য নগরী মারবেলায় রেস্তোরাঁ ব্যবসায় বাংলাদেশিদের সফলতা
এ সময় দূতালয় প্রধান এটিএম আব্দুর রউফ মণ্ডল, প্রথম কউন্সিলর মুতাসিমুল ইসলাম, ইউরোপ বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কবির আল মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের রেস্তরাঁ ব্যবসায় উন্নতি ও করোনা পরবর্তী সবক্ষেত্রেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের উন্নতি প্রতীয়মান হচ্ছে। এতে করে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবাসীদের রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে বলে মন্তব্য করে বলেন, বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠালে দেশ সমৃদ্ধ হবে এবং এর সুফল সবাই পাবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের সার্বিক কল্যাণ সাধনে আমাকে নিয়োগ দিয়েছেন। মেধা ও শ্রম দিয়ে তার এ বিশ্বাসের মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করব।
প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ দূতাবাস ও কনস্যূলেটের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তিনি তুলে ধরেন। এছাড়াও কোনো প্রয়োজন হলে দূতাবাস ও কনস্যূলেটের হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানান। রাষ্ট্রদূত প্রবাসীদের নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কাজ করে স্পেনে বাংলাদেশের সম্মানকে আরো সমুন্নত করার অনুরোধ জানান।