স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে টান টান উত্তেজনা ছড়াল বসুন্ধরা কিংস এবং শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের লড়াই। কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে নির্ধারিত সময়ের খেলা ২-২ গোলে ড্র থাকার পর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের খেলাও ড্র থাকায় ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে শেখ রাসেলকে ৪-১ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় শিরোপা জেতে বসুন্ধরা কিংস।
টাইব্রেকারে দুটি শট ঠেকিয়ে দেন সময়ের দেশসেরা গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। গোল করেন মিগেল ফিগেইরা। রাসেলের অর্ধে ইয়াসিন খানের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ব্রাজিলিয়ান এই মিডফিল্ডার।
ম্যাচের ১২ মিনিটেই শেখ রাসেলকে ম্যাচে ফেরান এমফন উদোহ। গোললাইনের ওপর থেকে মনির আলমের তুলে দেওয়া বলে বক্সের মধ্য থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন উদোহ।
৩২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় শেখ রাসেল। পেনাল্টি থেকে গোল করেন চার্লস দিদিয়ের। বক্সের মধ্যে এমফন উদোহকে ফেলে দেন কিংসের সাদ উদ্দিন। এতে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। মধ্যবিরতিতে যাওয়ার আগেই সমতায় ফেরে কিংস। সফল স্পট কিকে কিংসকে ম্যাচে ফেরান রবসন রবিনহো।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই সমানতালে আক্রমণ চালিয়ে যায়। তবে কোনো দলই পায়নি কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা। অতিরিক্ত ৩০ মিনিও ছিল গোলশূন্য। পরে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারে প্রথম চারটি শটেই কিংসের হয়ে গোল করেন রবিনহো, দরিয়েলতন, রেজা খানজাদেহ ও আনিসুর রহমান। কিন্তু শেখ রাসেলের প্রথম শটেই গোল করতে ব্যর্থ হন সোহেল রানা। দ্বিতীয় শটে হেমন্ত ভিনসেন্ট সফল হলেও তৃতীয় শটে খালেকুজ্জামানকে আটকে দেন আনিসুর রহমান। এতেই স্বাধীনতা কাপের দ্বিতীয় শিরোপা নিশ্চিত হয় বসুন্ধরা কিংসের।