১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে একটি গ্রামের রাজাকার পরিবারের সাথে গ্রামের অন্য পরিবারগুলোর মধ্যকার নানা রকম পরিস্থিতির গল্প নিয়ে সৈয়দ মহিবুর রহমানের রচনায় ও জুয়েল রানার পরিচালনায় নির্মিত স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ টেলিফিল্ম ‘আদম সুরত’ এর শ্যুটিং সম্পন্ন হয়েছে সম্প্রতি। টেলিফিল্মটিতে একজন এতিম যুবক হাতেম এর চরিত্রে দেখা যাবে শিপন মিত্রকে। অসহায়, এতিম ছেলেটির দায়িত্ব নেন সেই এতিম খানার মাওলানা। ২৪/২৫ বছরের এই এতিম ছেলে হাতেম একসময়ের মাওলানার সহকারী হিসেবে আবির্ভূত হন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলেও মাওলানা রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিলে তার শিষ্য হাতেমও তার সাথে যোগ দেয় পাকিস্তানি হানাদারদের দলে। তবে হাতেমকে এক তরফা ভালোবেসে যাওয়া মাওলানার মেয়ে তাকে এই কাজে বাধা দেন। তারপর কি হয়? হাতেম কি নিজের ভুল বুঝতে পারে? নাকি তার অপকর্মের শাস্তি পান? সেসবের উত্তর মিলবে ‘আদম সুরত’ রিলিজের পর। এলাকার রাজাকারের মেয়ের ভূমিকায় অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা এবং গ্রামের এতিম তরুণের চরিত্রে আছেন অভিনেতা শিপন মিত্র। একসাথে কাজ কম করা হলেও ব্যক্তিজীবনে শিপন এবং ভাবনা ভালো বন্ধু। এমনকি অভিনেত্রী হিসেবে ভাবনার প্রশংসাও করেন শিপন। তিনি জানান, এতো বন্ধুসুলভ এবং সাপোর্টিং একজন মানুষ ভাবনা যে তার সাথে কাজ করার সময় অনেক কিছুই শেখা যায়। আশাকরি আমাদের এই টেলিফিল্মটা দর্শকদের কাছে ভালো লাগবে।
ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টেলিফিল্মের শ্যুটিং চলাকালীন সময়ের কিছু ছবি প্রকাশ হলে অনেকের কাছেই ভাবনা-শিপনের জুটি প্রশংসা কুড়ায়। টেলিভিশন, ওটিটি এবং চলচ্চিত্র বিনোদনের তিন মাধ্যমেই ব্যস্ত সময় পার করছেন দেশা- দ্যা লিডার খ্যাত এই অভিনেতা। সবকিছু ঠিক থাকলে ঈদে রফিক শিকদারের ‘বসন্ত বিকেল’ সিনেমায় দেখা যাবে তাকে। এছাড়া মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘যাও পাখি বলো তারে’ এবং শোয়েব সজীবের ‘সুজুকি’ এই বছরেই রিলিজ পাচ্ছে। তবে স্বাধীনতার মাসে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটের ‘আদম সুরত’ নিয়ে বেশ আশাবাদী হবার সাথে সাথে উচ্ছ্বসিত শিপন।
এই সম্ভাবনাময় অভিনেতা জানান, আসলে নিজের পেশা বা নিজের জায়গা থেকে মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িয়ে আছে এমন যেকোনো কাযে অংশগ্রহণ একজন মানুষের জন্য অনেক বড় একটা প্রাপ্তির। নিজের দেশ, স্বাধীনতা, পতাকা এসবের প্রতি একজন মানুষের ঋন তো শোধ হবার নয়, তবে এমন একটা কাজে নিজেকে যুক্ত করাটা মনে একটা প্রশান্তি নিয়ে আসে। তাই স্বাভাবিকভাবেই ‘আদম সুরত’ আমার কাছে অনেক বেশি ভালোবাসার একটা কাজ। আশাকরি দর্শকদের এই কাজটি ভালো লাগবে। আগামী ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে টেলিফিল্মটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইতে সম্প্রচারিত হতে যাচ্ছে।