হজ কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগে ২৬টি হজ এজেন্সিকে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। আগস্ট মাসের বিভিন্ন সময়ে এই এজেন্সিগুলোকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।
এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা হজ পালনের জন্য নিবন্ধনের অর্থ নিয়েও নিবন্ধন সম্পন্ন করেনি। হজে পাঠানোর কথা বলে টাকা নিলেও এখন তা ফেরত দেয়া হচ্ছে না।
এ ছাড়া অস্বাস্থ্যকর, নিম্নমানের পরিবেশসহ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আবাসনের ব্যবস্থা না করার অভিযোগ আছে এই এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে।
নোটিশ পাওয়া এজেন্সিগুলো হলো খান জাহান আলী হজ ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, আল মদিনা ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনাল, আমদা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, মাবরুরান হজ এজেন্সি, শানজারি ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, রিমাল ট্রাভেলস, বন্ধু এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, মদিনা স্টার ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, আরব বাংলাদেশ ওভারসিজ অ্যান্ড হজ গ্রুপ ও জাবেদ এয়ার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড।
এ ছাড়া নোটিশ দেয়া হয়েছে স্কাই ওয়াল ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরস, ইয়াহিয়া ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরিজম, মেসার্স হলি এয়ার সার্ভিস, আল আকসা ট্রাভেলস, এন জেড ফাউন্ডেশন অ্যান্ড হজ মিশন, আল-নূর ট্রাভেলস, এম জি ইন্টারন্যাশনাল, আল হাসান ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, সুলতানা ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, কক্সবাজার ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, ইবনে বতুতা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, মালিবাগ ট্রাভেলস, সালাম-আবাদ ট্রাভেলস, গ্লাসি এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, ধানসিঁড়ি এয়ার ট্রাভেলস লিমিটেড ও মুবাল্লিগ ট্রাভেলকে ।
চলতি বছর হজে অনিয়মের মধ্যে এ পর্যন্ত ২৬টি হজ এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে সরকার। ‘হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১’ অনুযায়ী এসব এজেন্সিকে নোটিশের জবাব দিতে বলেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এ বছর হজ অনুষ্ঠিত হয় ৮ জুলাই। এবার বাংলাদেশ থেকে ৬০ হাজার ১৪৬ জন হজ পালনের সুযোগ পান।
ধর্ম মন্ত্রণালয় বলছে, এজেন্সিগুলোর জবাব পর্যালোচনা ও শুনানির পর তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হব। এ ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগে এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল, জামানত বাজেয়াপ্ত, জরিমানা ও সতর্ক করার শাস্তি দেয়া হতে পারে।
এ বছরের হজে মোট ৩৪৯টি এজেন্সি কার্যক্রম পরিচালনা করে।