বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একজন আজিজ, বেনজীর নয়। হাজার হাজার আজিজ-বেনজীর তৈরি করেছে এই আওয়ামী লীগ।
বুধবার রমনা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন। দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমান বাকশাল যোগ দিয়েছিলেন।’ এটি মিথ্যা কথা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমানকে একটি ফরম দিয়েছিল, তিনি সেই ফরম ফাইলের নিচে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে সময় চালু ছিল সরকারি সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের বাকশালে যোগ দেয়া বাধ্যতা ছিল, কিন্তু তিনি যোগ দেননি।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদের নতুন ধারণা দিয়েছিলেন। এটা একটা নতুন সূচনা। মুসলিম, হিন্দু, সকল ধর্মের জাতি ঐক্যবদ্ধ করতে সকল ভাষাভাষী মানুষের জন্য জাতীয়তাবাদ গড়েছিলেন। সেটির পরিচয় আমরা বাংলাদেশি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পুনর্জন্ম হয়েছিল জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই । তিনি বলেছিলেন ‘রাজনীতি হবে কৃষকের, শ্রমিকের জনতার। তৃণমূল থেকে রাজনীতিতে উঠে আসবে।’ জিয়াউর রহমানের কৃতিত্ব কখনো জাতি অস্বীকার করবে না। আওয়ামী লীগ আজ এই মহান নেতাকে খলনায়ক বানানোর চেষ্টা করেছে। ক্ষণজন্মা মানুষটিকে নিয়ে তারা উল্টাপাল্টা কথা বলে।
জনগণ সিদ্ধান্ত নিবে কে কার বিচার করবে- সরকারের প্রতি এমন প্রশ্ন রেখে মহাসচিব বলেন, অলরেডি বিচার হয়েই গেছে। নির্বাচন দেন না কেন? আমরা বলিনি, আমাদেরকে ক্ষমতায় বসিয়ে দাও। আমরা বলি, নিরপেক্ষ নির্বাচন দাও, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। তারা জানে, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তারা ১০ শতাংশ ভোটও পাবে না।
পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ ও সেনা প্রধান আজিজ আহমেদ প্রসঙ্গ তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, বেনজীরকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরও তাকে পুলিশ প্রধান বানিয়েছিল আওয়ামী লীগ।
একজন আজিজ নয়, বেনজীর নয়, হাজার হাজার আজিজ, বেনজীর তৈরি করেছে এই আওয়ামী লীগ। এরা বর্গিতে পরিণত হয়েছে। টাকা পাচার করে দেশকে শূন্য করেছে। লুটপাট, লুণ্ঠন করে সব শেষ করেছে। এ দায় সরকারকেই নিতে হবে।