নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ এরশাদ চৌধুরী৷
মাত্র ১৯ দিন আগে বিয়ে হয়েছিল চট্টগ্রাম রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা শান্তিরহাট সাপলেজা পাড়ার মো. ইউসুফের মেয়ে জাহেদা আফরিনের (২২)। রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের আবু তাহেরের পুত্র ইসমাইলের সাথে তার বিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু হাতের মেহেদী শুকানোর আগেই লাশ হয়ে ফিরল আফরিন।
জানা যায়, নিহতের শাশুড়ী ৪০ দিন আগে মারা গিয়েছিল। বিয়ের পর বাপের বাড়ি যাওয়া নিয়ে ২ পরিবারের মাঝে মনোমালিন্য চলছিল। এর জেরে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী নিহতের স্বজনের। তবে শ্বশুর বাড়ির লোকজন বলছে সে আত্মহত্যা করেছে৷
এই ব্যাপারে নিহতের ভাই ইব্রাহিম বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। বিয়ের ১৯ দিনের মধ্যে একবারও আমার বোনকে বাড়িতে নিয়ে যেতে দেয়নি। আমার বোনের জামাই নেশাগ্রস্ত ছিল। বোনকে মেরে ফেলা হয়েছে,তিনি বলেন মৃত্যুর এক ঘন্টা আগে আমার সাথে কথা হয়েছে আমি আনতে যাব রেডি হযে থাকতে,সেই জানতো একটু পর আমাদের বাড়িতে চলে আসবে কেন আত্মহত্যা করবে?
নিহতের স্বামী ইসমাইল জানান, গতকাল রাত থেকে কয়েকবার রুম থেকে বের হয়ে যেতে চেয়েছিল সে। সকালে একসাথে নাস্তা করেছিলাম। কিন্তু কি হয়ে গেল বুঝতে পারছি না।
নোয়াপাড়া এলাকার স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদ পারভেজ জানান, সকাল ৯ টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে কক্ষের দরজা বাইরে থেকে খোলা এবং ভিতরে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখি। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে খবর দেয়া হলে তারা এসে লাশ উদ্ধার করে।
নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন বলেন, “সকাল ১০ টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ খাটে পড়ে থাকতে দেখি। লাশটি উদ্বার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করি৷ এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।”