বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবায়দা রহমানের সাজাকে ‘হিংসা ও আক্রোশ’র বহিঃপ্রকাশ বলেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া এবং নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে দেয়ার জন্য ফরমায়েশি রায় দেয়া হয়েছে। ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে সরকার তার কোনো প্রতিপক্ষ রাখতে চায় না। এজন্য ফরমায়েশি রায় দেয়া হয়েছে। বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে সরকার।
এই রায় সরকার প্রধানের নির্দেশে হয়েছে দাবি করে মহাসচিব বলেন, এই রায় যে শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক হয়েছে তার বড় প্রমাণ আদালতে প্রায় ৪৯ লক্ষ মামলার জট থাকলেও আলোর গতিতে চলেছে এই মামলার কার্যক্রম। রাত ৮টা, ৯টা পর্যন্ত একতরফাভাবে সাজানো সাক্ষীকে দিয়ে শেখানো বুলি বলানো হয়েছে আদালতে। একমাসে এই মামলাটির জন্য প্রতিদিন শুনানি করে ৪২ জন সাক্ষী দ্রুত গতিতে নিজেরা নিজেরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক ঈর্ষায়, প্রতিহিংসায় তারেক রহমানকে টার্গেট করেছেন এমন মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এসব করে জনগণের আন্দোলন দমানো যাবে না।
ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দেশজুড়ে বিএনপি’র লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে শুধুমাত্র নব্য বাকশালী দুঃশাসনকে চিরস্থায়ী রাখতে।
সংবাদ সম্মলেনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েস্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খুসরু মাহমুদ চৌধুরী।