আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিলো বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপি জানায়, বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসসহ কিছু দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বা দীর্ঘসময় ডিবি কার্যালয়ে আটক করে রাখা হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
রোববার রাতে ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের ডিসি মো. ফারুক হোসেন বলেন, হিরো আলম ফেসবুক-ইউটিউব চ্যানেল তথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার নিজস্ব সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, কনটেন্ট শেয়ার করে থাকেন। এসব কনটেন্টের কিছু অংশে বিধিবহির্ভূতভাবে পুলিশের পোশাক পরে আপত্তিজনকভাবে কিছু অভিনয় প্রদর্শিত হয়, যা ডিএমপির দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বিভিন্ন ধরনের সংগীত গেয়ে তা প্রচার করেন; যার বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে জনসাধারণ কর্তৃক আপত্তি উত্থাপিত হয়।
বিকৃতভাবে পুলিশের পোশাক পরে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা এবং বিভিন্ন প্রতিথযশা শিল্পী ও কলাকুশলীদের গান বিকৃত সুরে উপস্থাপন করায় তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে তাকে অবহিত ও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডিবি কার্যালয়ে গত ২৭ জুলাই সকালে ডাকা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওইদিন দুপুরে হিরো আলম ডিবি কার্যালয় ত্যাগ করেন।
ইতোমধ্যে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসসহ কিছু দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বা দীর্ঘসময় ডিবি কার্যালয়ে আটক করে রাখা হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে। বিষয়টির প্রতি ডিএমপি’র দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে।
হিরো আলমকে আটক বা গ্রেপ্তারের বিষয়টি আদৌ তথ্যভিত্তিক নয়। গত ২৭ জুলাই হিরো আলমকে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার বা আটক করেনি বরং তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিলো।