আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলায় জড়িত অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার কে এন রায় নিয়তি গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কে এন রায় নিয়তি বলেন, হিরো আলমের ওপর হামলার পরপর ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাদের গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান বিভাগের সদস্যরা।
আজ সোমবার বিকেলে ঢাকা-১৭ আসনে ভোট চলাকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম) এর ওপর হামলা করা হয়। বেলা ৩টার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে যান হিরো আলম।
এ ঘটনার বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ বলেছে, হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনাটি পুরোপুরি ভোটকেন্দ্রের বাইরে ঘটে এবং এতে কেন্দ্রের ভেতরে ভোট গ্রহণে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হয়নি। পুলিশ সর্বোচ্চ পেশাদারি, আন্তরিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে দ্রুততম সময়ে ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কেন্দ্রের ভেতরে ঢোকার আগে স্কুলের মাঠে কয়েকজনের সঙ্গে সেলফি তোলেন হিরো আলম। এ সময় হামলাকারীদের কয়েকজন এসে হিরো আলমকে ঘিরে ধরে। এরপর ‘এটা টিকটক ভিডিও বানানোর জায়গা না’ বলেই ধাওয়া শুরু করে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা হিরো আলমকে ঘিরে ধরে স্কুলের গেটের দিকে নিয়া যান।
হিরো আলম স্কুল থেকে বের হওয়ার পর পুলিশ সদস্যরা কেন্দ্রে ফিরে যায়। এ সুযোগে ধাওয়াকারীরা হিরো আলমকে ধাক্কা দিয়ে সড়কের ওপর ফেলে দেন। নৌকার ব্যাজ পরা হামলাকারীদের কয়েকজনের হাতে লাঠিসোঁটাও ছিল। তাদের দেখা যায় হিরো আলমের সাদা পাঞ্জাবি ধরে টানছেন, ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন, লাথি মারছেন, মাথার ওপর ধরে রেখেছেন উঁচু লাঠি। হিরো আলম ছুটে রিকশায় ওঠার চেষ্টা করেন, ধাওয়া খেয়ে রিকশা থেকে নেমে আবার দৌড়ে পালান হিরো আলম।
হিরো আলমের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মো. ইলিয়াস দাবি করেছেন, ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা এই হামলায় জড়িত। তিনি বেলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিরো আলমের ওপর শারীরিকভাবে হামলা করা হয়েছে।