কক্সবাজারে বেপরোয়া রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আরও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পর্যটন শিল্প, এমনটাই মনে করছে কক্সবাজারের সচেতন মহল। তাই দ্রুত প্রত্যাবাসনসহ রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প থেকে বের হতে না দেওয়া এবং পর্যটন সংশ্লিষ্ট খাতে রোহিঙ্গারা যাতে কোনভাবেই ঢুকতে না পারে তার ব্যবস্থা নিতে হবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
কক্সবাজার পিপলস ফোরামের সভাপতি ফরহাদ ইকবাল বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প হুমকির মুখে। ভবিষ্যতে এই ঝুঁকি আরও বাড়তে পারে।
সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারে সংগঠিত বেশির ভাগ ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা জড়িত সেটা প্রমাণিত। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা পর্যটকদের কাছ থেকে ছিনতাই করে। এছাড়া শহরে সরকারি পাহাড় দখল, হত্যা, অপহরণসহ বেশিরভাগ অপরাধে জড়িত রোহিঙ্গারা।
উখিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, এক সময় উখিয়া কুমির প্রজনন কেন্দ্র, ইনানির বিভিন্ন স্থানে পর্যটকরা আসতো কিন্তু এখন ভয়ে কোন পর্যটক আসে না। সবাই রোহিঙ্গাদের অপকর্মে অতিষ্ঠ।
টেকনাফ পৌর কাউন্সিলর আবদুল্লাহ মনির বলেন, এক সময় টেকনাফ মাথিনের কুপ, ন্যাচার পার্ক, টেকনাফ বীচে হাজার হাজার দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা থাকতো এখন পর্যটক দেখাই যায় না।
কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সহ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজারের মানুষ সচেতন না হলে বর্তমানে যে পর্যটক আসছে সেটাও হারাতে হবে। হোটেল রেস্তোরাঁয় এমনকি বীচে রোহিঙ্গারা কাজ করছে দ্রুত তাদের অপসারণ করতে হবে। এবং ভবিষ্যতে কোন পর্যটন সংশ্লিষ্ট খাতে যাতে কোন রোহিঙ্গা ঢুকতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন টুয়াকের সাধারণ সম্পাদক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর জানান, পর্যটনের মূল হচ্ছে নিরাপত্তা। পর্যটকরা যদি নিরাপত্তার অভাব বোধ করে তাহলে কোনদিন সেখানে পর্যটক আসবে না। এটা চরম বাস্তবতা রোহিঙ্গাদের কারণে আমাদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। তাই দ্রুত প্রত্যাবাসন, রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প থেকে বের হতে না দেওয়া। আর রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের বিশেষ বিচারের মাধ্যমে রায় দ্রুত কার্যকর করারও দাবি জানান তিনি।