ঢাকা , শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের টার্গেটে এগোচ্ছে সরকার না খেয়ে দিন পার করছে গাজার এক-তৃতীয়াংশ মানুষ রিয়াদে বর্নিল আয়োজনে এনটিভির ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন পন্টিংকে ছাড়িয়ে টেন্ডুলকারকে ছোঁয়ার অপেক্ষায় রুট রাণীশংকৈলে ১১ কেজি ওজনের কচ্ছপ জব্দ,২০ হাজার টাকা জরিমানা।  রাণীশংকৈলে পাটক্ষেতের আলে লুকিয়ে থাকা সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু। ফরিদগঞ্জ পৌর ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন ফরম কর্মসূচীর উদ্বোধন বিমানবন্দরের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইলস্টোন, সরানোর সুপারিশ ফিটনেসবিহীন রাষ্ট্র চাপিয়ে দিয়ে গেছে শেখ হাসিনা: নাহিদ খোকসা যুব সংঘ ও পাঠাগারের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

হোমনায় প্রতারণার মাধ্যমে বোনের স্বামীর পারিবারিক কবরস্থানসহ স্বামীর সম্পত্তি লিখে নিলেন আপন দুই ভাই

সাংবাদিক

কুমিল্লা প্রতিনিধি।। কুমিল্লার হোমনায় আপন দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে বোনের স্বামীর পারিবারিক কবরস্থানসহ স্বামীর সম্পত্তি লিখে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের মোঃ মবিনুল হক ও মোঃ গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে ।

উপরোক্ত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের মৃত নায়েব আলী ভূইয়ার স্ত্রী মোসা: আছিয়া খাতুন স্বামী হইতে দান সূত্রে প্রাপ্ত হইয়া জয়পুর মৌজার জেএল নং ৯৩, ৪০০ নং খতিয়ানের হালে ১৫১৬, ১৫১৭, ১৫২৯, ১৫৩০ নং দাগে এবং সাবেক ৭৬৭ নং দাগের পারিবারিক কবরস্থানসহ মোট ৫৪ শতক জায়গার মালিক ও ভোগ দখলে আছেন ।

পৈতৃক সূত্রে এবং বিএস রেকর্ড মূলে এই জমির মালিক নায়েব আলী ভূইয়া । আছিয়া খাতুনের ছেলে ইঞ্জিনিয়ার এম এ কাউছার এই বিষয়ে বলেন, আমার মা তার পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত একই মৌজার কয়েকটি দাগে ৫৭.৫ শতাংশের জমির মধ্যে ৫৪ শতাংশ জমি তার আপন দুই ভাই গোলাম মোস্তফা ও মবিনুল হক কে দান করার প্রস্তাব করলে মবিনুল হক আমার মা কে হোমনা সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে নিয়ে যান তার পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত জমি রেজিস্ট্রি করানোর জন্য । কিন্তু তারা সুকৌশলে হোমনা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে নিয়ে গিয়ে একই মৌজা ভুক্ত স্বামীর সম্পত্তির তথ্য গোপন করে অন্যায়, অবৈধ ও বেআইনীভাবে আমার বাবার নামে রেকর্ডভুক্ত পারিবারিক কবরস্থানসহ মোট ৫৪ শতাংশ জমির বিপরীতে রেকর্ড বহির্ভূত ৬১ শতাংশ জমি ৭৩৮ নং হেবা ঘোষণা দলিলের মাধ্যমে লিখে নেয় যা আমার মা তখন বুঝতে পারেননি এবং তারা সেটা দীর্ঘদিন ধরে গোপন রাখে । কিন্তু কিছুদিন পূর্বে তারা গোপনে জমিটি তাদের নামে জমা খারিজ করেছে এবং উক্ত জমিটি তারা বিক্রি করবে বলে প্রকাশ পেলে জমির মালিক আছিয়া খাতুন আশ্চার্য্যন্তিত হয়ে যান এবং পরবর্তীতে তাদের প্রতারণা সম্পর্কে অবগত হন ।

উল্লেখ্য যে উক্ত জমিতে মৃত নায়েব আলী ভূঁইয়ার এবং তার পূর্বপুরুষদের পারিবারিক কবরস্থান হিসাবে অধ্যাবধি ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং দলিলে কবরস্থানের কথা বাদ উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও মোঃ মবিনুল হক কবরস্থান সহকারে সম্পূর্ণ জমি খারিজ করেছেন মর্মে জানা গেছে । যদিও এই জমিতে বিবাদীদের কোন ভোগ দখল ও স্বত্ত নেই এবং থাকার কথাও নয় । এই জমিটি তারা দুই ভাই কৌশলে লিখে নেন, কারণ জমিটি আছিয়া খাতুনের স্বামীর সম্পত্তি । তারা শঠতার আশ্রয় নিয়ে আছিয়া খাতুনের পৈতৃক সম্পত্তির বদলে স্বামীর সম্পত্তি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে লিখে নেয়, যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও প্রতারণামূলক । দুই ভাইয়ের প্রতারণা কথা জানতে পেরে আছিয়া খাতুন নিজে বাদী হয়ে মিথ্যা ও জালিয়াতিপূর্ন দলিল বাতিলের জন্য আদালতে দেওয়ানি মামলা দায়ের করেন যাহা মোকাম কুমিল্লা হোমনার বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতের দেওয়ানী মামলা নং ১১৮/২০২৫ চলমান এবং পরবর্তীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে উক্ত জমিটিতে । দেওয়ানী মামলা এবং নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকার কারণে উক্ত জমির উপর বিবাদী কর্তৃক কোন প্রকার নির্মাণ, বিক্রয় এবং ভোগদখল আইনত দন্ডনীয় মর্মে জমিতে সাইনবোর্ড সাটাঁনো রয়েছে ।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত মোঃ মবিনুল হক বলেন, আছিয়া খাতুন আমার বোন আর কাউছার আমার ভাগিনা। যে জায়গাটা নিয়ে মামলা করেছে, সেই জায়গাটা অন্যত্র বিক্রি করতে চেয়েছিলো কিন্তু আমরা অন্য কারো কাছে বিক্রি করতে দেইনি। নিজেরাই রেখে দিয়েছি। সেই কারণে হেবা করেছি। আর কবরস্থান ভুলক্রমে খারিজ করা হয়েছে। এটা খারিজ থেকে বাদ দেওয়া হবে। কাউছার ও তার ভাই আমার কাছে এসেছিলো জায়গাটা ক্রয় করার জন্য। ৮০ লক্ষ টাকার জায়গা ৬০ লাখে দিতে রাজি হয়েছিলাম ভাগিনা বলে। কিন্তু তারা অন্যের পরোচনায় বিনা পয়সায় জায়গা নিবে মনে করে আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এটা কি মামা ভাগিনার সম্পর্ক?
আমি ছোটবেলায় তাদেরকে লালনপালন করেছি, চাকরি দিয়েছি। এখন তারাই আমার বিরুদ্ধে মামলা করলো?

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৬:০১:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
৫১৬ Time View

হোমনায় প্রতারণার মাধ্যমে বোনের স্বামীর পারিবারিক কবরস্থানসহ স্বামীর সম্পত্তি লিখে নিলেন আপন দুই ভাই

আপডেটের সময় : ০৬:০১:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

কুমিল্লা প্রতিনিধি।। কুমিল্লার হোমনায় আপন দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে বোনের স্বামীর পারিবারিক কবরস্থানসহ স্বামীর সম্পত্তি লিখে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের মোঃ মবিনুল হক ও মোঃ গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে ।

উপরোক্ত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের মৃত নায়েব আলী ভূইয়ার স্ত্রী মোসা: আছিয়া খাতুন স্বামী হইতে দান সূত্রে প্রাপ্ত হইয়া জয়পুর মৌজার জেএল নং ৯৩, ৪০০ নং খতিয়ানের হালে ১৫১৬, ১৫১৭, ১৫২৯, ১৫৩০ নং দাগে এবং সাবেক ৭৬৭ নং দাগের পারিবারিক কবরস্থানসহ মোট ৫৪ শতক জায়গার মালিক ও ভোগ দখলে আছেন ।

পৈতৃক সূত্রে এবং বিএস রেকর্ড মূলে এই জমির মালিক নায়েব আলী ভূইয়া । আছিয়া খাতুনের ছেলে ইঞ্জিনিয়ার এম এ কাউছার এই বিষয়ে বলেন, আমার মা তার পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত একই মৌজার কয়েকটি দাগে ৫৭.৫ শতাংশের জমির মধ্যে ৫৪ শতাংশ জমি তার আপন দুই ভাই গোলাম মোস্তফা ও মবিনুল হক কে দান করার প্রস্তাব করলে মবিনুল হক আমার মা কে হোমনা সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে নিয়ে যান তার পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত জমি রেজিস্ট্রি করানোর জন্য । কিন্তু তারা সুকৌশলে হোমনা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে নিয়ে গিয়ে একই মৌজা ভুক্ত স্বামীর সম্পত্তির তথ্য গোপন করে অন্যায়, অবৈধ ও বেআইনীভাবে আমার বাবার নামে রেকর্ডভুক্ত পারিবারিক কবরস্থানসহ মোট ৫৪ শতাংশ জমির বিপরীতে রেকর্ড বহির্ভূত ৬১ শতাংশ জমি ৭৩৮ নং হেবা ঘোষণা দলিলের মাধ্যমে লিখে নেয় যা আমার মা তখন বুঝতে পারেননি এবং তারা সেটা দীর্ঘদিন ধরে গোপন রাখে । কিন্তু কিছুদিন পূর্বে তারা গোপনে জমিটি তাদের নামে জমা খারিজ করেছে এবং উক্ত জমিটি তারা বিক্রি করবে বলে প্রকাশ পেলে জমির মালিক আছিয়া খাতুন আশ্চার্য্যন্তিত হয়ে যান এবং পরবর্তীতে তাদের প্রতারণা সম্পর্কে অবগত হন ।

উল্লেখ্য যে উক্ত জমিতে মৃত নায়েব আলী ভূঁইয়ার এবং তার পূর্বপুরুষদের পারিবারিক কবরস্থান হিসাবে অধ্যাবধি ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং দলিলে কবরস্থানের কথা বাদ উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও মোঃ মবিনুল হক কবরস্থান সহকারে সম্পূর্ণ জমি খারিজ করেছেন মর্মে জানা গেছে । যদিও এই জমিতে বিবাদীদের কোন ভোগ দখল ও স্বত্ত নেই এবং থাকার কথাও নয় । এই জমিটি তারা দুই ভাই কৌশলে লিখে নেন, কারণ জমিটি আছিয়া খাতুনের স্বামীর সম্পত্তি । তারা শঠতার আশ্রয় নিয়ে আছিয়া খাতুনের পৈতৃক সম্পত্তির বদলে স্বামীর সম্পত্তি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে লিখে নেয়, যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও প্রতারণামূলক । দুই ভাইয়ের প্রতারণা কথা জানতে পেরে আছিয়া খাতুন নিজে বাদী হয়ে মিথ্যা ও জালিয়াতিপূর্ন দলিল বাতিলের জন্য আদালতে দেওয়ানি মামলা দায়ের করেন যাহা মোকাম কুমিল্লা হোমনার বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতের দেওয়ানী মামলা নং ১১৮/২০২৫ চলমান এবং পরবর্তীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে উক্ত জমিটিতে । দেওয়ানী মামলা এবং নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকার কারণে উক্ত জমির উপর বিবাদী কর্তৃক কোন প্রকার নির্মাণ, বিক্রয় এবং ভোগদখল আইনত দন্ডনীয় মর্মে জমিতে সাইনবোর্ড সাটাঁনো রয়েছে ।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত মোঃ মবিনুল হক বলেন, আছিয়া খাতুন আমার বোন আর কাউছার আমার ভাগিনা। যে জায়গাটা নিয়ে মামলা করেছে, সেই জায়গাটা অন্যত্র বিক্রি করতে চেয়েছিলো কিন্তু আমরা অন্য কারো কাছে বিক্রি করতে দেইনি। নিজেরাই রেখে দিয়েছি। সেই কারণে হেবা করেছি। আর কবরস্থান ভুলক্রমে খারিজ করা হয়েছে। এটা খারিজ থেকে বাদ দেওয়া হবে। কাউছার ও তার ভাই আমার কাছে এসেছিলো জায়গাটা ক্রয় করার জন্য। ৮০ লক্ষ টাকার জায়গা ৬০ লাখে দিতে রাজি হয়েছিলাম ভাগিনা বলে। কিন্তু তারা অন্যের পরোচনায় বিনা পয়সায় জায়গা নিবে মনে করে আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এটা কি মামা ভাগিনার সম্পর্ক?
আমি ছোটবেলায় তাদেরকে লালনপালন করেছি, চাকরি দিয়েছি। এখন তারাই আমার বিরুদ্ধে মামলা করলো?