স্টাফ রিপোর্টার:
হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সে স্বস্তি ফেরাতে এবং গ্রাহকদের আস্থা বাড়াতে নিয়োগ দেওয়া হয় নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তবে তা স্বস্তি ফেরাতে পারেনি প্রতিষ্ঠানে। এর নেপথ্যে মূলত কোম্পানিটিতে প্রবাসী পরিচালকদের আধিপত্য বিস্তার ও অনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা।
সম্প্রতি আবারো সিলেটে বোর্ড সভা আহবান করে নোটিশ প্রদান করে হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এই বোর্ড সভার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট মামলা দায়ের করা হলে শুনানি শেষে তা আদালত স্থগিত করে দেন। অভিযোগ রয়েছে, হোমল্যান্ড লাইফের অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি-অনিয়মের সকল সিদ্ধান্তই নেয়া হয়েছে সিলেটে অনুষ্ঠিত সভাগুলোতে।
এর আগেও কোম্পানিটির প্রবাসী পরিচালকরা আধিপত্য বিস্তারের জন্য সিলেটে সভা করত। এতে ঢাকার পরিচালকরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলত সিলেটের ওই সভাগুলোতে। এতে করে অনিয়ম ও দুর্নীতি করার সিদ্ধান্তগুলো প্রবাসী পরিচালকরা নিতেন খুব সহজেই। এবারও হোমল্যান্ড লাইফের বিরুদ্ধে ১০৪ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ও ৫ পরিচালকের শেয়ার সার্টিফিকেট জালিয়াতির কেলেঙ্কারী ধামাচাপা দিতেই সিলেটে বোর্ডসভাসহ অন্যান্য সভা করার পাঁয়তারা করছে বলে মনে করছেন কোম্পানি সংশ্লিষ্টরা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সম্প্রতি হোমল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স থেকে কোম্পানি সচিবকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। তবে অব্যহতি পাওয়ার পর কোম্পানি সচিব সহ হোমল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স থেকে নিগত সময়ে দুর্নীতির দায়ে অব্যহতি পাওয়া কর্মকর্তারা মিলে কোম্পানির প্যাড ও সিল স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ব্যবস্থাপক উপ-ব্যবস্থাপক সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অব্যহতিপত্র সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি করছে। যা কোম্পানির গ্রাহকদের মধ্যে ধূম্রজাল তৈরি করছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রাহকরা। তাদের দাবি বর্তমান ব্যবস্থাপক এবং তার নেতৃত্বে হোমল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সে গ্রাহকদের বকেয়া পাওনার চেক পাওয়ার যে গতি এসেছে তাতে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে এমন অপতৎপরতা। এর সাথে সম্পৃক্তদের আইনের আওতায় আনার দাবিও তাদের। একি সাথে পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্বশীল আচরণের অনুরোধও গ্রাহকদের।