কোনো রকম বেতন না কেটেই সব কর্মীদের জন্য স্থায়ীভাবে চার দিনের কর্মসপ্তাহ চালু করেছে যুক্তরাজ্যের ১০০ কোম্পানি। এসব কোম্পানিতে মোট ২ হাজার ৬০০ জন কর্মী রয়েছে। তবে চার কর্মদিবসের সপ্তাহের ক্যাম্পেইনে আশা করা হচ্ছে, তারা দেশটিতে একটি রূপান্তরমূলক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবেন।
দ্য গার্ডিয়ানের তথ্যমতে, চার কর্মদিবসের সপ্তাহের সমর্থকরা বলছেন, সপ্তাহে পাঁচ কর্মদিবসের পদ্ধতিটি পুরনো। চার কর্মদিবসের সপ্তাহ কোম্পানিগুলোকে তাদের উত্পাদনশীলতা বাড়াতে এবং কম কর্মঘণ্টার মধ্যে সমপরিমাণ কাজ সম্পন্ন হবে। এই নীতির প্রথম পর্যায়ের গ্রহণকারীরা এটিকে কর্মীদের আকর্ষণ করার এবং ধরে রাখার একটি দুর্দান্ত উপায় হিসেবে মনে করছে।
১০০টি কোম্পানির মধ্যে যুক্তরাজ্যের দুটি বৃহত্তম সংস্থা রয়েছে, যারা চার দিনের কর্মসপ্তাহ গ্রহণ করেছে। সেগুলো হলো অ্যাটম ব্যাংক এবং গ্লোবাল মার্কেটিং কোম্পানি অ্যাউইন। তাদের প্রত্যেকের যুক্তরাজ্যে প্রায় ৪৫০ জন কর্মচারী রয়েছে।
আউইনের প্রধান নির্বাহী অ্যাডাম রস দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, নতুন কাজের পদ্ধতিতে স্যুইচ করা ইতিহাসে সবচেয়ে রূপান্তরমূলক উদ্যোগগুলোর মধ্যে একটি।
তিনি বলেন, গত দেড় বছরে আমরা কর্মচারীদের সুস্থতার হারে অসাধারণ বৃদ্ধি দেখেছি। একইসঙ্গে আমাদের গ্রাহক পরিষেবা এবং গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্ক, প্রতিভার উন্নয়ন এবং কর্মী ধরে রাখা বিষয়টিও উপকৃত হয়েছে।
এদিকে, চার কর্মদিবসের সপ্তাহের ক্যাম্পেইনটি ৩ হাজার ৩০০ জন কর্মী নিয়োগকারী প্রায় ৭০টি কোম্পানিতে চলছে। যা কাজের ধরনের ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাইলট প্রকল্প বলা হচ্ছে। এটি ক্যামব্রিজ, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় এবং থিঙ্কট্যাঙ্কের গবেষকদের পরীক্ষামূলক প্রকল্প।
এ ট্রায়ালের মাঝামাঝি সময়ে সেপ্টেম্বরে প্রকল্পটি কীভাবে চলছে জানতে চাইলে কোম্পানিগুলোর 88 শতাংশ বলেছে, চার কর্মদিবসের সপ্তাহ তাদের ব্যবসার জন্য ইতিবাচক কাজ করছে এবং প্রায় ৯৫ শতাংশ বলেছে, এ পদ্ধতি চালুর উত্পাদনশীলতা হয় সমান রয়েছে, না হয় বেড়েছে।
যেসব কোম্পানি আনুষ্ঠানিকভাবে কাজের নতুন পদ্ধতি গ্রহণ করেছে, তাদের বেশিরভাগই প্রযুক্তি, ইভেন্ট বা মার্কেটিং কোম্পানির মতো পরিষেবা খাতের। তবে ক্যাম্পেইনটি কিছু উত্পাদন এবং নির্মাণ নিয়োগকর্তারাও চালু করেছেন।
সূত্র : এনডিটিভি