মো. আহসানুল ইসলাম আমিন ,নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি যদি আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে আমাদের কোন মাথাব্যথা নেই। আমরা কিছু বলবো না। আমরা এটা নিয়ে চিন্তাও করি না। কিন্তু সেদিন যদি তারা জনসভার নামে কোন ধরনের সন্ত্রাসী, নৈরাজ্য বা ধ্বংসাত্মকমূলক পথ বেছে নেয় তবে অবশ্যই দেশের মানুষের জানমাল রক্ষায় আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী তার উপযুক্ত জবাব তাদের দিবে। আমরা প্রস্তুত রয়েছি তাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়ার জন্য। আওয়ামী লীগ তাদের কোন অপকর্মকে মেনে নিবে না। মঙ্গলবার ( ১৫ নভেম্বর) বিকেলে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ মুন্সিগঞ্জ জেলার অন্তর্গত শ্রীনগর উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আমরা দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করি। বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষকে ভালোবেসে তাদের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সব সময় কাজ করে গেছেন। তিনি চেয়েছিলেন দেশের মানুষ দুমুঠো খাবার খেয়ে বেঁচে থাকুক। এর জন্য তিনি সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। বাংলাদেশকে দারিদ্র মুক্ত করার সব সময় চেষ্টা করেছেন। কিন্তু খুনির দলেরা তা মেনে নিতে পারেনি।১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। বর্তমানে তার সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি দেশকে উন্নত সম্বৃদ্ধ রাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন , বিএনপি বিনা ভোটে ক্ষমতায় এসে সারা বাংলাদেশে ধ্বংসলীলা ও তাণ্ডব চালিয়েছিল। সারা দেশে তারা লুটপাট করেছিল। ধ্বংস করে দিয়েছিল পুরো দেশের অবকাঠামোকে। তারা বহু নারী ও শিশুকে ধর্ষণ করেছে। তারা মন্দির উপাসনার জায়গা, এমনকি মসজিদে হামলা করেছে। তারা এখনো ধ্বংস হয়নি, এখনো দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের অপকর্মের রাজনীতি এখনো চলছে। তারা এখনো দেশকে মিনি পাকিস্তান বানাতে চায়। এর জন্য তারা সকল ষড়যন্ত্রই চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি বাংলাদেশে খুনিদের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। তারা এখনো হাওয়া ভবনের কুখ্যাত গডফাদারকে দেশে আনতে চায়। বিএনপি লুটপাট চোরাকারবারি ও বিদেশী অর্থ পাচারকারীদের দল। যারা দেশের অর্থনীতি ভেঙে দিয়েছিল তারা এখন আবার নতুন করে হুংকার দিচ্ছে। এদের বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। এই খুনিদের কাছে কখনো বাংলাদেশকে ছাড়া যাবেনা। এদের মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিএনপির সকল কর্মকাণ্ডকে প্রতিহত করতে হবে। এরা ২০১৩-১৪ সালে হরতালের নামে সারাদেশে পেট্রোল বোমা মেরে বহু মানুষকে হত্যা করেছে। এদের কাছে সাধারণ মানুষ নিরাপদ নয়। এদের পেট্রোল বোমা থেকে ছোট শিশু এমনকি নারীরাও রেহাই পায়নি। আন্দোলনের নামে এরা নিরপরাধ শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। এরা গবাদি পশুবাহী ট্রাকে পর্যন্ত বোমা মেরে পশুদের হত্যা করেছে। এদের যে কোন মূল্যে প্রতিহত করতে হবে। আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৪ বছর বাংলাদেশে উন্নয়ন অগ্রগতিকে যারা মেনে নিতে পারে না, যাদের দেশের অগ্রগতিকে মেনে নিতে তাদের কষ্ট হয়, এরাই দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়। এরাই রাজাকারদের কাছে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা তুলে দিয়েছিল। কানাডিয়ান আদালত এদের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে রায় দিয়েছে। ঘুষখোরের দল হিসেবে আমেরিকার এফবিআই এদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছে।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আল-মাহমুদ বাবু ও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ তাজুল ইসলাম পিন্টু এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি।
বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক এ. কে. এম. আফজালুর রহমান বাবু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নাফিউল করিম নাফা প্রমুখ।