১১ দিনের সতর্কতা নির্দেশনার বিষয়ে জানি না: আইজিপি
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) থেকে দেশের বিভিন্ন পুলিশের ইউনিটে পাঠানো একটি চিঠিতে ১১ দিনব্যাপী বিশেষ সতর্কতার নির্দেশ দেওয়া হয়। এসবির রাজনৈতিক উইংয়ের ডিআইজি স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে জানানো হয়, আওয়ামী লীগ গোপনে সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা বা সহিংসতা ঘটাতে পারে—এমন গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। এছাড়া সরকারবিরোধী রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো জুলাই অভ্যুত্থান উপলক্ষে কর্মসূচি পালন করছে, যার ধারাবাহিকতায় নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা হতে পারে।
এসবি চিঠিতে আরও বলা হয়, এই সময়ে অনলাইন ও অফলাইনে উসকানিমূলক প্রচারণার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। ফলে সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার, সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও যানবাহনে নজরদারি, মোবাইল প্যাট্রল এবং সাইবার গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাসসহ সন্দেহভাজন সব যানবাহনে তল্লাশি, বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট ও বিমানবন্দরের আশপাশে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল ও অনলাইনে গুজব ছড়ানো প্রতিরোধে বিশেষ সাইবার প্যাট্রলিংয়েরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, ‘আওয়ামী লীগের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে। দেশে-বিদেশে যারা অশান্তির পরিকল্পনায় যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’