ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটে গোলমাল তৈরি হয়েছে এবং সেটি দ্রুতই নিরসন করা হবে বলে জানিয়েছেন জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।
মঙ্গলবার (৪ জুন) রাজধানীর ইস্কাটনে নিজ বাসায় জোটের বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন শীর্ষ পর্যায়ের এ নেতা।
নিজেদের মধ্যে যেটুকু গোলমাল তা নিরসন করতে শিগগির আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের ঘোষণা দিয়েই ক্ষান্ত হননি আমু। বর্ষীয়ান এ রাজনীতিক বলেন, বিগত জাতীয় নির্বাচনসহ সকল কিছু নিরসন করে ঈদের পর থেকে আমরা ইতিবাচক কর্মসূচি নেবো। তার মাধ্যমে এগিয়ে যাবো আমরা।
তিনি আরও বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই- ১৪ দল সাম্প্রদায়িক শক্তি ও আন্তর্জাতিক বলয়ের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি আদর্শিক জোট। এটি কোনো চাওয়া-পাওয়ার জোট নয়। সেই আদর্শের জোট হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছি।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দল আছে, থাকবে জানিয়ে আমু বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবে এ জোট। একই সঙ্গে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করা হবে। আমরা মনে করি আদর্শিক যে সংঘাত, সেই সংঘাতের বিপক্ষ শক্তি শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত। সেটা মোকাবিলা করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা স্থির থাকতে পারেন, ১৪ দল ছিল, আছে এবং থাকবে। যে শক্তির বিরুদ্ধে ১৪ দল গঠিত হয়েছিল, সেই শক্তি এখনো তৎপর, ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত এবং থাকবো।
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের প্রসঙ্গ টেনে বৈঠকে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবসময় ১৪ দল অবস্থান নিয়েছে। এবারও যে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান সুস্পষ্ট। এই দুর্নীতি রোধ করতে না পারলে সরকারের যে অর্জন তা ক্ষুণ্ন হবে। সেটা বেনজীর হোক বা আজিজ।
এসময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন ও আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ অনেকে।