২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত গত ১৫ বছরে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের হাতে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পর্যায়ে ৮৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
শনিবার (৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে নিরাপদ বাংলাদেশ চাই-এর আয়োজনে ‘শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে এমন তথ্য উঠে আসে।
এছাড়া ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৫৩টি চাঁদাবাজি ৩৯টি টেন্ডারবাজি এবং ৩০টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে ছাত্রলীগ। নিজেদের দলীয় কোন্দলে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭ জন। পরীক্ষায় নকল জালিয়াতি ও ভুয়া বাণিজ্যে গত ১৫ বছরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ৩৭টি ঘটনার সবগুলোর সঙ্গেই ছাত্রলীগ জড়িত ছিল।
এসময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যেনো সন্ত্রাসের আখড়া না হয় সেদিকে খেয়াল রাখছে অন্তর্বর্তী সরকার । সেইসঙ্গে ভবিষ্যতে নির্বাচিত সরকারকেও সেদিকে খেয়াল রাখাতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, এই সরকার চায় বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিরাপদ হোক। ক্যাম্পাসগুলোকে কোনভাবেই সন্ত্রাসীর আড্ডা বানাতে দেয়া হবে না। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ছিল ফ্যাসিবাদের মূল সৈনিক। ছাত্রলীগ পুরো জাতিকে জিম্মি করে রেখেছিল।
বাংলাদেশকে নিরাপদ করতে হলে শিক্ষাঙ্গনকে নিরাপদ করতে হবে। আরেকটি ছাত্রলীগ যাতে তৈরি না হয় শিক্ষাঙ্গনে সে ব্যবস্থা সবাই মিলে নিতে হবে। সবার ভিতর সচেতনতা তৈরি করতে হবে বলেও জানান তিনি।