দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আগামী ১৮ ডিসেম্বর (সোমবার) থেকে নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাজনৈতিক দলের কোনো সভা, সমাবেশ বা অন্য কোনো প্রকার রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমতি দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে সই করেছেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব হাবিবুল হাসান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ছাড়া নির্বাচনী কাজে বাধা হতে পারে বা ভোটাররা ভোটপ্রদানে নিরুৎসাহিত হতে পারে এরূপ কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ বা অন্য কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা পাঠায় নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় জলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন ৭ জানুয়ারি ধার্য করা রয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা শুরু হবে। ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ সমাপ্ত হওয়ার পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ব্যতীত নির্বাচনী কাজে বাধা হতে পারে বা ভোটাররা ভোটপ্রদানে নিরুৎসাহিত হতে পারে এরূপ কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ বা অন্য কোনো প্রকার রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখা বাঞ্ছনীয়।
কমিশনের অনুরোধটি এমন সময়ে এলো যখন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ নির্বাচন বর্জনকারী বিরোধী দলগুলো নির্বাচনের আগে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করতে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে একটি জোট গঠনের পরিকল্পনা করছে।
নভেম্বরের মাঝামাঝি কমিশন কর্তৃক ঘোষিত নির্বাচনি তফসিল অনুসারে, প্রার্থীদের ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের সুযোগ থাকছে।
প্রাথমিকভাবে নির্বাচনি এলাকার রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাতিল করা মনোনয়নপত্র বর্তমানে পর্যালোচনা করছে ইসি। তিন দিনে মোট ১৬৮ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।