ঘূর্ণিঝড় মোখা ঘণ্টায় প্রায় ২০০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানার আশঙ্কা করা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ। তিনি জানিয়েছেন, আগামী রবিবার সকালের পর থেকে সন্ধার মধ্যে অত্যন্ত তীব্র এই ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মিয়ানমারে রাখানই রাজ্যের মংডু জেলার ওপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করা শুরু করতে পারে।
আজ মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুরে তিনি এ আশঙ্কার কথা জানান।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসাবে ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার বেগে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ওপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
মোস্তফা কামাল পলাশ দেশ রূপান্তরকে বলেন, সর্বশেষ পূর্বাভাসের আলোকে আমি আশঙ্কা করছি বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা আগামী রবিবার (১৪ মে) সকাল ৬টার পর থেকে ১৫ মে সকাল ৬টার মধ্যে অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসাবে ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার বেগে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যের মংডু জেলার ওপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
তিনি আরও বলেন, স্থল ভাগে আঘাতের স্থানটি নিয়ে এখনো সামান্য পরিমাণ অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে যার কারণে ঘূর্ণিঝড়টি মিয়ানমারের দিকে কিংবা বরিশাল বিভাগের দিকে সামান্য পরিমাণ ঝুঁকে পড়তে পারে। অর্থাৎ, ঘূর্ণিঝড়টির চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে অতিক্রম করার কিছু সম্ভাবনা রয়েছে। একইভাবে ঘূর্ণিঝড়টি কিছুটা ডান দিকে সরে গিয়ে কক্সবাজার ও মিয়ানমারে রাখাই রাজ্যের মংডু জেলার ওপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করার কিছু সম্ভাবনা রয়েছে।