২০০৪ সালে বিচারপতি সুলতান হোসেন খানের নেতৃত্বে প্রথম কমিশন গঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে দায়িত্ব পালন করেন সাবেক সেনাপ্রধান হাসান মশহুদ চৌধুরী, গোলাম রহমান, মো. বদিউজ্জামান, ইকবাল মাহমুদ ও মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। বর্তমান কমিশন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন নতুন পরিস্থিতিতে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
তবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন আজ কোনো আনুষ্ঠানিকতা নেই। প্রস্তুতিসভার কথা শোনা গেলেও এবারের দিনটি নীরবেই কাটছে। জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে এ উপলক্ষে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হতে পারে।
দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। দুদকের প্রতি মানুষের আস্থা ও সমর্থন আমাদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করছে। বর্তমান দুদক অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় আরও সক্রিয় ও শক্তিশালী—দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমরা জোরালো ভূমিকা পালন করছি।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর দুদকের কার্যক্রম হঠাৎ করেই দ্রুতগতিতে বাড়ে। সাবেক সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপি, আমলা ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ১ হাজার ৩০০ মামলা দায়ের হয়েছে।
দুদকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে যাচাই-বাছাই শেষে ৫৩০টি অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য গ্রহণ করা হয়। একই সময়ে ১ হাজার ২৯৪টি মামলা ও ৬২৫টি মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে সবচেয়ে বেশি ক্রমশ ১১২ ও ১২৭টি অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর এককভাবে সবচেয়ে বেশি মামলা ৩১২টি দায়ের হয় আগস্ট মাসে।

























